এক অসহায় বাবা

এক অসহায় বাবা বাসা থেকে বের হচ্ছি, হঠাৎ ধপাস করে হাত ফসকে তালাচাবি মেঝেতে পড়ে ছিটকে গেলো। আমি তালাচাবি কুড়িয়ে হাতে নেড়েচেড়ে নষ্ট হয়েছে কি-না চেক করলাম। তারপর বাসায় তালা লাগিয়ে অফিসে যাওয়ার জন্য বের হলাম। হুট করে এমন কেন হলো? সেটা বুঝতে পারলাম, তার কিচ্ছুক্ষণ পরই। রাস্তায় এসে গাড়িতে উঠছি মাত্র, চাচাশ্বশুর ফোন দিলো। রিসিভ করতেই বলেন, নওরিন হঠাৎ জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে। মুখ দিয়ে ফেনার মত লালা বের হচ্ছে। আমি প্রচন্ডরকম শক খেলাম, আমার দু'বছরের বাচ্চা মেয়ের এমন খবর শুনে। দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার কথা বলে অফিসে গেলাম। অফিসের ম্যানেজার স্যারকে বলেই গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিলাম। ফোনে খোঁজখবর নিচ্ছি আর কাঁদছি। এছাড়া অসহায় বাবার আর কিছু করার নাই। রাস্তায় কিছুটা জ্যাম থাকায় বাস থেকে নেমে পাগলের মত দৌড় দিলাম। টেকনিক্যাল মোড়ে এসে দূরপাল্লার বাস কাউন্টারে টিকিট কেটে রানিং বাসে চড়ে বসলাম। পাবনা সদর হাসপাতাল থেকে আমার বাচ্চাকে রাজশাহী অথবা ঢাকায় নিয়ে যেতে বলেছে শুনে আমার অবস্থা পাগল প্রায়। বুক ফেটে কান্না হুহু করে বের হচ্ছে। আমি পাগলের মত কাঁদছি আর ঝড়ে বিধস্ত পাখির মত শুধুই ছটফট কর...