Posts

Showing posts from May, 2018

উন্নয়নের বিরিয়ানী

দরজায় ঠকঠক শব্দ। একরাশ বিরক্ত নিয়ে বিছানা ছেড়ে উঠে দরজা খুলে দেখি, নূরা পাগলা! প্রশ্ন করলাম, -তুই, বাসায় ঢুকলি ক্যামনে? -হে হে গুরু, কেয়ার্টেকাররে দিছি... -কি দিছিস! মাইর? -নাহ গুরু, সহনীয় মাত্রায় ঘুষ সাতসকালে পাগলা নিশ্চয় কোন ঝামেলা পাকিয়ে এসেছে। তাই বিরক্তের সহিত বললাম, -কেন এসেছিস? -গুরু, সারারাত ঘুমাইতে পারি নাই -কেন? মশারা কি খুব জ্বালাইছে... -এইটা নতুন কী, প্রতিরাতেই মশারা গান ধরে। আর আমি তবলা বাজাই -তো, সারারাত তবলা বাজিয়ে এখন কি রাগসঙ্গীত শুনতে এসেছিস? -গুরু কি বিরক্ত হচ্ছেন? -না বল, মাথায় আবার কোন পোঁকা ঢুকেছে... -গুরু, পোঁকা না প্রশ্ন -কি প্রশ্ন? -উন্নয়নের বিরানী কি? হাজি বিরানী, শাহী বিরানী ও নান্না বিরানীর নাম শুনেছি। কিন্তু উন্নয়নের বিরানীর নাম প্রথম শুনে অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম, -এই বিরানী, তুই কোথায় পেলি? -গুরু, উগন্ডার প্রধানমন্ত্রীর মুখে শুনেছি -কি শুনেছিস? -আপনারা উন্নয়নের বিরানী খান। আর কলাগাছের ভেলায় ভোট দিন। একথা শুনে টাস্কি খেয়ে গেলাম। আকাশে চাঁদ উঠলে, কাউকে ডেকে দেখানো প্রয়োজন হয় না। ঘরে বসেই দেখা যায়। কিন্তু ক্ষুধার্ত মানুষকে আকাশের চাঁদ ঝলস...

জীবনের প্রথম পুরস্কার

তখন সম্ভাবতঃ ক্লাস ফাইভে পড়ি। স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায়, আমি দৌড়ে তৃতীয় স্থান লাভ করেছিলাম। তৃতীয় স্থানের পুরস্কার ছিল বাটি। আমি সেই বাটিখানা পেয়ে খুশিতে গদগদ হয়ে গিয়েছিলাম। জীবনের প্রথম পুরস্কার বাটি। সেই বাটি দিয়ে শুধু তরকারি ও ডালই খেতাম না ভাতও খেতাম। পানিও খেতাম। আর মুড়ি খেতে সেই বাটিখানা আমার চাই, চাই'ই। কখনো কখনো বাটিখান উপুড় করে মাথার নিচে দিয়ে ঘুমাইতাম। আজ সেই বাটির কথা মনে পড়ে গেল... প্লিজ কেউ আবার বাটি চালান দিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় প্রধানমন্ত্রীর বাটি পুরস্কারের সাথে মিল খোঁজার চেষ্টা কইরেন না।।

ডাচ বাংলা ব্যাংকের বুথ

ডাচ বাংলা ব্যাংকের বুথে গিয়ে ছিলাম। প্রথম বুথটিতে কার্ড ঢুকিয়ে পাসওয়ার্ড দিলাম। ম্যাসেজ দিলো, অনুগ্রহপূর্বক অপেক্ষা করুন। ৪/৫ মিনিট হয়ে যাচ্ছে, আমি অপেক্ষায় আছি... বিরক্ত হয়ে সিকিউরিটি গার্ডকে জিজ্ঞেস করলাম, 'বুথটি কি নষ্ট?' শুনে বলল, 'মনে হয়, অপেক্ষা করুন। কার্ডটি বের করে দিবে' প্রায় দশ মিনিট পর কার্ডটি বের করে দিলো। সিকিউরিটি গার্ড আরেকটি বুথ দেখিয়ে বলল, 'এইটাতে দিন।' দিলাম। এবার টাকার অংক বসিয়ে কারেক্ট ওকে দেওয়ার পর ম্যাসেজ দিল। দুঃখিত, এমুহূর্তে আপনার রশিদ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না... ও বাব্বা! আমার দরকার টাকা আর ম্যাসেজ দিচ্ছে, রশিদ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। কি হচ্ছে কিচ্ছুই বুঝতেছি না। তৃতীয় বুথটিতে কার্ড দিলাম। এবার কার্ড সাথে সাথে বের করে দিয়ে মেসেজ দিল, দুঃখিত এমুহূর্তে লেনদেন সম্ভব হচ্ছে না... অথচ অনেকেই দেখছি টাকা তুলছে। চিন্তায় পড়ে গেলাম। কার্ডটি কি নষ্ট হয়ে গেলো? যদি নষ্ট হয়ে যায় তাহলে কার্ড পেতে মিনিমাম এক সপ্তাহ লাগবে। এখন কি করি... আমি যে বাসায় থাকি, সে বাসায় ভাড়া দেওয়ার নিয়ম বড়ই অদ্ভুত। ভাড়া ঠিক ১০ তারিখেই দিতে হবে। সমস্যা যতই হোক, ১০ তারিখের আগে...