উন্নয়নের বিরিয়ানী
দরজায় ঠকঠক শব্দ। একরাশ বিরক্ত নিয়ে বিছানা ছেড়ে উঠে দরজা খুলে দেখি, নূরা পাগলা! প্রশ্ন করলাম, -তুই, বাসায় ঢুকলি ক্যামনে? -হে হে গুরু, কেয়ার্টেকাররে দিছি... -কি দিছিস! মাইর? -নাহ গুরু, সহনীয় মাত্রায় ঘুষ সাতসকালে পাগলা নিশ্চয় কোন ঝামেলা পাকিয়ে এসেছে। তাই বিরক্তের সহিত বললাম, -কেন এসেছিস? -গুরু, সারারাত ঘুমাইতে পারি নাই -কেন? মশারা কি খুব জ্বালাইছে... -এইটা নতুন কী, প্রতিরাতেই মশারা গান ধরে। আর আমি তবলা বাজাই -তো, সারারাত তবলা বাজিয়ে এখন কি রাগসঙ্গীত শুনতে এসেছিস? -গুরু কি বিরক্ত হচ্ছেন? -না বল, মাথায় আবার কোন পোঁকা ঢুকেছে... -গুরু, পোঁকা না প্রশ্ন -কি প্রশ্ন? -উন্নয়নের বিরানী কি? হাজি বিরানী, শাহী বিরানী ও নান্না বিরানীর নাম শুনেছি। কিন্তু উন্নয়নের বিরানীর নাম প্রথম শুনে অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম, -এই বিরানী, তুই কোথায় পেলি? -গুরু, উগন্ডার প্রধানমন্ত্রীর মুখে শুনেছি -কি শুনেছিস? -আপনারা উন্নয়নের বিরানী খান। আর কলাগাছের ভেলায় ভোট দিন। একথা শুনে টাস্কি খেয়ে গেলাম। আকাশে চাঁদ উঠলে, কাউকে ডেকে দেখানো প্রয়োজন হয় না। ঘরে বসেই দেখা যায়। কিন্তু ক্ষুধার্ত মানুষকে আকাশের চাঁদ ঝলস...