Posts

Showing posts from December, 2018

একটি পোস্টার খেকো ছাগল

লেবেল প্লেয়িং নির্বাচন হতে চলছে। অথচ একটি দলের নির্বাচনী পোস্টার ছাড়া আর কোন পোস্টার নেই। সেই নির্বাচনী পোস্টারে রাস্তার চারিধারে ছেয়ে গেছে। গাছের কোন পাতা দেখা যাচ্ছেনা, সেই পোস্টারের কারণে। যেদিকে তাকান শুধু একই পোস্টার আর পোস্টার। সবুজ অরণ্য এখন পোস্টারণ্য হয়ে গেছে।           আমি সেই পোস্টার দেখছি আর হাঁটছি। হঠাৎ পিছন থেকে নুরা পাগলার ডাক শুনতে পেলাম। ফিরে তাকিয়ে দেখি, নুরা পাগলা দড়ি ধরে টানতে টানতে একটা ছাগল নিয়ে আসতেছে। ছাগলটা কিছুতেই আসতে চাইছে না কিন্তু নুরা পাগলা জোর করে টেনে আনছে। ওর কষ্ট দেখে কিছুটা পথ এগিয়ে গেলাম। নুরা পাগলা হাঁফ ছেড়ে বলল, -যাক রাস্তায় আপনেরে পাইয়া গ্যাছি, গুরু। ছাগলডা নিয়া বহুত প্যারার মইধ্যে আছি। -কি হয়েছে? -সেটা'র জন্যি আপনার কাছে আইছি -সমস্যাটা কার? তোর না ছাগলের? -গুরু, ছাগলের আমি কিঞ্চিত বিরক্তি নিয়ে বললাম, -ইদানীং তুই বেশি বাড়াবাড়ি করছিস  -ওমা! কুথায় বাড়াবাড়ি করলাম?  -এইযে, তোর সমস্যার সাথেসাথে গরু-ছাগলের সমস্যাও নিয়ে আমার কাছে আসতেছিস! -গুরু, আপনি আমা...

আলাদিনের দৈত্য

Image
রাতে বিজয় দিবস পালন করে বাসায় ফিরছি। শরীর বেজায় ক্লান্ত। হঠাৎ শক্ত কিছুর আঘাত পায়ে লেগে হোঁচট খেলাম। রাতের আধো আলোয় তাকিয়ে দেখি, সেটা একটি বদনা। কেউ হয়ত ইমার্জেন্সী প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দিতে বদনা রেখেই ছুটে গেছে। তাই ভাবলাম, ফেলে যাওয়া বদনাটা দিয়ে আসি খুঁজে বদনার মালিককে। বেচারা হয়ত কোন মাইনকা চিপায় বদনা ছাড়াই একাকী বসে আছে। বদনাটা দিলে তার অন্তত উপকার হবে। সেই ভাবনায়, বদনাটি হাত দিয়ে ধরলাম। বদনাটা নাড়াচাড়া করতে গিয়ে অবাক হলাম, এটা বদনা নয় প্রদীপ। হ্যাঁ আলাদিনে প্রদিপ মনে হচ্ছে! ঘষা দিবো কিনা ভাবছি, ঠিক তখনি আমাকে অবাক করে দিয়ে প্রদীপ থেকে দৈত্য বের হয়ে এলো। বুঝতে পারলাম, প্রদীপের অবস্থাও আধুনিক স্মার্ট ফোনের মত হয়ে গেছে। একটু ছোঁয়াতেই কাজ হয়ে যায়। আমি মনে মনে বলি। নিশ্চয়ই এবার দৈত্য বলবে, 'মু হাহাহা! মালিক কি চাই?' কিন্তু দৈত্য ব্যাটা তার কিছুই বললো না, ইমার্জেন্সী ভাবে শুধু বলল, 'বাথরুম কোনদিকে?' আমি একটি পাবলিক টয়লেট দেখিয়ে দিলাম। কিছুক্ষণ পর, দৈত্য পাবলিক টয়লেট থেকে বের হয়ে বমি করে দিলো মুখ ভরে। তারপর শান্ত হয়ে বলল, 'আপনাদের পাবলিক ট...

বিজয় দিবস

Image
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের  দরাজ কন্ঠের আওয়াজ 'বাংলার মানুষ মুক্তি চাই, বাংলার মানুষ বাঁচতে চাই, বাংলার মানুষ অধিকার চাই।' গলির মোড়ের মাইকে বাজছে, আমি রাস্তা দিয়ে হাঁটছি আর শুনতেছি। ভাবতেছি, উনার কথার সাথে আজকের দিনের পরিস্থিতির দারুণ মিল। মনে হচ্ছে, উনি বর্তমান সময়ের কথায় বলছেন। সত্যি, আজ বাংলার মানুষ মুক্তি চাইছে। বাংলার মানুষ প্রকৃত মুক্তির স্বাদ কখনো পায়নি। স্বাধীনতা শুধুমাত্র কাগজ কলমে লিপিবদ্ধ আছে। বাস্তবে বাংলার মানুষ রিফিউজির চেয়েও ভয়াবহ অবস্থায় আছে। স্বাধীনতার এতো বছর পরেও পাকবাহিনীর মত একই কায়দায় বুটপরা লোক ও তাদের দোসর বুলেট দিয়ে মুক্তিকামী মানুষদের হত্যা করছে, মা-বোনকে নির্যাতন করছে, গনমাধ্যমের কন্ঠরোধ করছে। বলার আর অবকাশ থাকে না, আমরা কি সত্যি স্বাধীন!!

কালা বন্দুক

Image
হঠাৎ রাস্তায় নুরা পাগলার সাথে দেখা হয়ে গেলো। নুরা পাগলার ফুরফুরে মেজাজ দেখে জিজ্ঞেস করলাম, -: হ্যারে নুরা, তুই কিস্তিতে যে বন্দুক কিনেছিলি... একথা শুনে বুকের সিনা টান করে নুরা পাগলা বলল,    -: হ' কালা বন্দুক কিনচিলাম -: কিস্তি পরিশোধ করেছিস? -: শোধ করে আরেকটা বন্দুকের অর্ডার দিছি -: বলিস কী! ছিনতাই-চাঁদাবাজি ভালোই করেছিস তাহলে? -: কী কচ্ছেন! আপনি মানা করবার পর আর করি নাই -: তাহলে! কিস্তি পরিশোধ করেছিস কিভাবে? -: গুরু, বাড়িতে একটা লাল মোরগ আছিল না? -: দেখে ছিলাম হয়ত -: সেই মোরগের ডিম বেচে... -: মোরগও ডিম পাড়ে? -: হ্যাঁ, দিনে দুটা করে ডিম পাড়ে -: কিভাবে সম্ভব? -: সবই কালা বন্দুকের খেল -: বলিস কি?    -: মোরগের পাছায় বন্দুক ঠেকায়ে বলি, হয় জান দিবি না হয় ডিম দিবি। গুরু, জানের ভয়ে মোরগ প্রতিদিন দুটি করে ডিম দেই। টক অফ দ্যা টপিক: আজ আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি কালা বন্দুকের দৌরাত্ম্যে কুন্ঠিত। এখানে আইন, শাসন ও বিচার ব্যাবস্থা চলে গেছে কালা বন্দুকধারীর হাতে। যেখানে নীতি নৈতিকতার কোন বালাই নেই। তিনি একচ্ছত্র আধিপত্যে কল-কাঠি যেভাব...