Posts

Showing posts from August, 2019

বন্ধুর টাকার শ্রাদ্ধ

Image
জীবনে বন্ধুর প্রয়োজন আছে, তবে অকৃতজ্ঞ বন্ধু না। বন্ধু ছাড়া জীবন লবণ ছাড়া তরকারির মতন পানসে। তাই জীবনের একটু স্বাদের জন্য ঢাকা থেকে বাড়িতে এলে চেষ্টা করি, সব বেসিক্যাল বন্ধুদের সাথে দেখা করার। তবে সময়ের অভাবে সবার সঙ্গে দেখা করা সম্ভবও হয়না। গতকাল কিছুটা ব্যস্ত ছিলাম বটে, তবুও রাতে শহরে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতেছিলাম। সেইসময় আমার ছোটবেলার কিছু ফ্রেন্ডস আমার সাথে আড্ডা দেওয়ার জন্য ফোন দিলো। বললাম, শহরের অমুক জায়গায় আছি। চলে আয়। কিছুক্ষণের মধ্যে ওরা চলে এলো। আরও একটা ফেন্ড আসবে। ওর আসতে দেরি হওয়ায় বললাম, তোরা কিছুটা সময় অপেক্ষা কর। ও আসলেই একসাথে বসে আড্ডা দিবো। আমি রেস্টুরেন্টে আগের বন্ধুদের সাথে খাওয়াদাওয়া করে তাড়াতাড়ি বিদায় নিলাম। তারপর ওদের ফোন দিলাম। ওরা আরেকটি রেস্টুরেন্টের সামনে দাঁড়িয়ে ছিল। আমি ওদের নিয়ে সেই রেস্টুরেন্টে গেলাম। মাত্রই খেয়েছি তাই আমি আর খেলাম না। ওরা ওদের পছন্দমতো অর্ডার দিলো। খাওয়া শেষে আমি বিল পরিশোধ করে ফেলেছি। সবাই উঠে দাঁড়িয়েছে, তারপরও একবন্ধু বলে আরেকটা শিক খায়। যদিও একেকজন ডাবল শিক কাবাব খেয়েছে। আমি আবারও শিক কাবাব অর্ডার দিলাম। অবাক বিষয়...

কাঙ্গালি ভোজ

রাতে হঠাৎ নুরা পাগলা আমার বাসায় এসে হাজির। ওকে দেখে অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম, -তুই! এতো রাতে? কাঁদোকাঁদো গলায় নুরা পাগলা বলল, -মহা বিপদে পড়ছি, গুরু। আমারে উদ্ধার করেন। -কি হয়েছে তোর? -সে এক মহা সমস্যা... -আরে, খুলে বল -গুরু, পেটে সমস্যা -কি, ডাইরিয়া হয়েছে? -গুরু, সেটা হলে ত বাঁচতাম -তাহলে, কি হয়েছে?  -গুরু, বদহজম হয়েছে। আপ-ডাউন কিচ্ছুই হচ্ছে না -মানে? -হাগু হচ্ছে না, আবার বমিও হচ্ছে না -কি বলিস! তা খেয়েছিস কী? -কাঙ্গালি ভোজ মনে পড়ে গেলো, আজ ১৫ই আগষ্ট শোক দিবস। এইদিনে চারিদিকে শোকের বিরিয়ানির উৎসব চলে। নিশ্চয়ই নুরা পাগলা শোকের বিরিয়ানি খেয়েছে। সে সারাবছর পঁচা-বাসি আর পান্তা খায়। পেট ওটাতেই অভ্যস্ত হয়ে গেছে। আজ বিরিয়ানী খেয়েছে, সেটা পেট কাউন্ট করতে পারছে না। আর সেজন্যই হয়তো পেট কোন আউটপুট দিচ্ছে না। আমি নুরা পাগলাকে আশ্বস্ত করে বললাম, -শোন, মানুষের যেখানে ডাল ভাত জোটে না। সেখানে তুই বিরিয়ানী খেয়েছিস! ভালো। সারাবছর পর একদিন ভালমন্দ খেলে যা হয়, তোর তাই হয়েছে। মানে, বদহজম। -এজন্যি ত, আপনার কাছে আইছি। আপনে টেটমেন্ট দ্যান। -আমি ট্রিটমেন্ট কিভাবে দিবো। আমি কি ডাক্তার?...

রান্নাবাড়া

Image
ওষুধ ছিটালে উত্তরের মশা দক্ষিণে যায়, আর দক্ষিণের মশা উত্তরে যায়! তেমনই আমিও দৌড়ের উপর আছি। ব্যস্ততা এতোটাই, প্রিয়া সাহার গুম হওয়া সংখ্যালঘু সংখ্যার চেয়েও বেশি হবে। 'ডেঙ্গু ছেলেধরার মতো গুজব’ বলে সিডি চালিয়ে মেয়র সাব বসে থাকলেও আমার একমুহূর্ত বসে থাকার অবসর নাই। ডেঙ্গুর প্রকোপে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে রুগীর উপচে পড়া চাপে হিমশিম খাচ্ছে। সেইসাথে রোগ নির্ণয়ের প্রতিষ্ঠানে কাজের চাপ বাড়ছে প্রচন্ডরকমের। গত সপ্তাহ থেকে সকাল ৯টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত একটানা অফিস করছি। রাত দুটায়/আড়াইটায় বাসায় ফিরতেছি। এইটা আমার পক্ষে কেমনে সম্ভব হচ্ছে, জানিনা। তবে মানুষের সেবায় নিয়জিত আছি, এটাই বড় কথা। এদিকে বাসায় গিন্নী নাই। গ্যাস্টিকের কারণে হোটেলের খাবার খেতে পারিনা। গিন্নীর রান্না করে দেওয়া ফ্রিজের খাবারও শেষ। তাই ব্যাচেলরের মত ডিম আনি, ডিম খাচ্ছি। ম্যানেজার স্যারকে বললাম, 'স্যার, গিন্নী না থাকায় খাওয়াদাওয়া কষ্ট হয়ে গেছে।' স্যার আমার ও আমার সহকারীর জন্য অনুরাগের চিকেন বিরিয়ানির ব্যবস্থা করলো। আয়োজনটা একদিনের জন্য হলো, তারপর আর কোন আওয়াজ নাই। আমিও সাইলেন্ট মুডে গিয়ে ধুমসে ...