জীবনে বন্ধুর প্রয়োজন আছে, তবে অকৃতজ্ঞ বন্ধু না।
বন্ধু ছাড়া জীবন লবণ ছাড়া তরকারির মতন পানসে। তাই জীবনের একটু স্বাদের জন্য ঢাকা থেকে বাড়িতে এলে চেষ্টা করি, সব বেসিক্যাল বন্ধুদের সাথে দেখা করার। তবে সময়ের অভাবে সবার সঙ্গে দেখা করা সম্ভবও হয়না।
গতকাল কিছুটা ব্যস্ত ছিলাম বটে, তবুও রাতে শহরে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতেছিলাম। সেইসময় আমার ছোটবেলার কিছু ফ্রেন্ডস আমার সাথে আড্ডা দেওয়ার জন্য ফোন দিলো। বললাম, শহরের অমুক জায়গায় আছি। চলে আয়।
কিছুক্ষণের মধ্যে ওরা চলে এলো। আরও একটা ফেন্ড আসবে। ওর আসতে দেরি হওয়ায় বললাম, তোরা কিছুটা সময় অপেক্ষা কর। ও আসলেই একসাথে বসে আড্ডা দিবো।
আমি রেস্টুরেন্টে আগের বন্ধুদের সাথে খাওয়াদাওয়া করে তাড়াতাড়ি বিদায় নিলাম। তারপর ওদের ফোন দিলাম। ওরা আরেকটি রেস্টুরেন্টের সামনে দাঁড়িয়ে ছিল। আমি ওদের নিয়ে সেই রেস্টুরেন্টে গেলাম। মাত্রই খেয়েছি তাই আমি আর খেলাম না। ওরা ওদের পছন্দমতো অর্ডার দিলো। খাওয়া শেষে আমি বিল পরিশোধ করে ফেলেছি। সবাই উঠে দাঁড়িয়েছে, তারপরও একবন্ধু বলে আরেকটা শিক খায়। যদিও একেকজন ডাবল শিক কাবাব খেয়েছে। আমি আবারও শিক কাবাব অর্ডার দিলাম।
অবাক বিষয়! রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে কিসের আড্ডা? একেকজন বলে তাড়াতাড়ি বাসায় যেতে হবে। আমি বললাম, 'ঠিক আছে। আমিও এখন শ্বশুরবাড়ি যাবো। তোরা লঞ্চঘাট পর্যন্ত চল। সেখানে আমার শালাবাবু মোটর সাইকেল নিয়ে আসবে। তারপর তোরা চলে যাবি।'
লঞ্চঘাট থেকে বেশি দূরে না একবন্ধুর বাড়ি। সেইবন্ধুকে আরেক বন্ধু বলল, 'তুই ওকে লঞ্চঘাট পর্যন্ত ড্রপ দে। আমরা চলে গেলাম।'
আমি কিছু ফ্রুটস কিনে বন্ধুর মোটর সাইকেলে চড়ে বসলাম। বাংলাবাজারে এসে শালাবাবুকে ফোন দিলাম, লঞ্চঘাটে আসতে। ও আসার আগেই আমরা পৌঁছে গেছি। সে পর্যন্ত বন্ধুটি আমাকে সময় না দিয়ে চলে গেলো। আর বলল, 'আমার জরুরী ফোন আয়ছে, যেতে হবে। তুই কোথাও বসে থাক।'
হায়রে বন্ধু...!!
আমি পুরাই কনফিউজড হয়ে গেলাম।
এরা কি আড্ডা দিতে এসেছিল?
নাকি বন্ধুর টাকার শ্রাদ্ধ করতে এসেছিল??
Comments
Post a Comment
আপনার মূল্যবান মতামত দিন