Posts

Showing posts from November, 2019

মুরগীযোদ্ধা

বিশিষ্ট  মুরগীযোদ্ধা, ঘাতক দালান নির্মুল কমিটির সভাপতি যদিও তিনিই সবচেয়ে বড় দালাল, পাকবাহিনীর মুরগী সাপ্লায়ার ও সেকুলার (নাস্তিক)  শাহরিয়ার কবীর  বলেন, 'অ তে অযু করে পাক হও আযান শুনে নামাজে যাও ইসলাম চাই শান্তি ঈমান বাড়াই শক্তি কোরআন পড় দিনেরাতে খোদার রহমত পাবে তাতে।' বাচ্চারা এসব কি পড়ছে;  এসব পড়ে বাচ্চারা বড় হয়ে হলি আর্টিজেনের মত ঘটনা ঘটায়। তিনি  একটি ইংলিশ মিডিয়ামে বাচ্চাদের বর্ণ শিক্ষা দেওয়া নিয়ে বেশ উদ্বেগ প্রকাশ করে এসব কথাবার্তা বলেন। এই সেকুলাঙ্গার মুরগী কবীরের কক-কক-ককালাপ শুনে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, নতুন প্রজম্মকে ইসলামবিদ্বেষী করে ও ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে কথা বলে নিজের ফায়দা লুটা ছাড়া আর কিছুই না। যেমন ফায়দা লুটে মুক্তিযুদ্ধের সময় তারপর মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী এই সময়।           এই ধর্মবিদ্বেষী বিনা ভোটের সরকারের সবচেয়ে বড় সাফল্য তাদের চেতনার মেশিন আবিস্কার। যে চেতনার মেশিনে কোন রাজাকার ঢুকলে মুক্তিযোদ্ধা হয়ে বের হয়। আর সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধারা এই চেতনার মেশিন থেকে বের হয়ে গেলে রাজাকার হয়ে যায়।...

যন্ত্রমানবী

বাস থেকে নেমে বাসার দিকে হেঁটে যাচ্ছি। হঠাৎ খেয়াল করলাম, কে যেন আমাকে অনুসরণ করছে। পিছে তাকিয়ে দেখি, সিল্কের কাপড় পরিহিত একটি মেয়ে হেঁটে আসছে। দেখে ভাবলাম, ধুর! সে আমাকে অনুসরণ করবে কেন?  বাসার গলির মুখে এসে কি মনে করে যেন ঘাড় ঘুরিয়ে অবাক হয়ে গেছি! সেই মেয়েটি আমার পিছ ধরে পিছে পিছেই আসছে। আমি দাঁড়িয়ে গেলাম। সেই মেয়েটিও আমার ঠিক দু'ফুট দুরে এসে দাঁড়ালো। জিজ্ঞেস করলাম, -কে তুমি? চোঁখ মুখে সবুজ আভা এনে বলল, -আমি সোফিয়া 'সোফিয়া' নামটি শুনে আমি স্মৃতির পাতায় স্ক্যান দিলাম। নাহ, সোফিয়া নামে কেউ আসলো না। শে*' নামের একজন উঁকি দিল। সাথে সাথে তাকে ডিলিট মেরে দিলাম। কারণ, ওই ভাইরাসটা এক সময় পুরো জীবনটা হ্যাং করে ফেলেছিল। থাক সে প্রসঙ্গ। আমি অনেকক্ষণ ভেবেচিন্তে বললাম, -ঠিক, চিনতে পারছি না? -তুমি মিথ্যে বলছো -সত্যি বলছি, আমি চিনতে পারছি না  -তোমাকে কিন্তু আমি ঠিকই চিনি -কিভাবে? -তুমি ব্লগার ' নজরুল কবীর ' -এটা এমনকি পরিচয়? -তোমার কাছে এটা সাধারণ। তবে কারো কারো কাছে তুমি অসাধারণ -একটু বেশি হয়ে যাচ্ছেনা? -বেশি কোথায়? রবিন্দ্রনাথ কে নিয়ে...

একদিন রবীন্দ্রনাথের সাথে

Image
হঠাৎ একদিন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমার বাসা এসে হাজির। চোখ বড় করে অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম, -গুরু আপনি! আমার কথার উত্তর না দিয়ে ঝটপট করে বলে উঠে, -তোর কাছে ব্লুহোয়েল গেম আছে? -ব্লুহোয়েল গেম!! -থাকলে দে, খেলে আত্মহত্যা করবো -গুরু, আপনি তো অমর... -ওরে,  সেইজন্যি তো খেলে মরতি চাইছি এবার অবাকের মাত্রা ছাড়িয়ে হতবাক হয়ে গেলাম। তারপর বললাম,    -কেন মরবেন!! কি হয়েছে -অপমানে মরি যাতি ইচ্ছে করছে -অপমান! কে করলো? -তোরা, করেছিস -আমরা! মানে? -হ্যাঁ, মান ইজ্জত আর রাখলি না -কিভাবে? -খুব তো  ফাল-পারলি নোবেল পাবি বলে। যখন পেলি না তখন বললি, যে নোবেল রক্তখেকো সুচি আর সুদখোর ইউনুছ পাইছে সে নোবেল দরকার নাই। -হ্যাঁ, ঠিকই ত -আরে বেকুব, গোল্ডফিশের দল ভুলে গেছিস। একদা এই ভানু সিং একখান নোবেল পেয়েছিল। -হ্যাঁ, সেটা জানি। তো আমাকে ঝাড়ছেন কেন?        -তোকে ঝাড়াবো নাতো ঝাড়বো কাকে? -কেন? বঙ্গদেশে আর কেউ নাই?  -ওরে,  তুই কাজী দা'র ভাউ ধরেছিস। ফেসবুক, ব্লগে লিখে  জাতিকে জাগ্রত করার চেষ্টা করিস। তাই তোকে ঝেড়ে মনটা এক...

বেলতলায় একবারই যাওয়া ভালো

Image
হঠাৎ আমার এক বান্ধবী ফোন দিয়ে বলে, -দোস্ত, তুই কোথায়?  বর্তমানে আমি যে জায়গায় অবস্থান করছি। সেই জায়গার নাম'ই বললাম। -৭ মার্চে আছি... বান্ধবী আমার অবাক হয়ে বলল,   -আরে যাহ! ৭ই মার্চের ভাষণ সেই কবেকার কথা... আমি বললাম,  -আরে শোন, ৭মার্চের ভাষণে না ভবনের কাছাকাছি আছি -কীহ, যা-তা বলিস! -অবাক হলি? -হবোনা, কি বলছিস এসব! ভাষণ না ভবন। -শোন, ৭ মার্চ এখন ভাষণের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। ভবনের মধ্যেও ঢুকে গেছে। মেয়েদের হোস্টেলের নামকরণ হয়েছে।   -বুচ্ছি, তুইই ওখানে কি করি? টাংকি মারছিস? -শোন, আমাদের রাস্ট্রপ্রতি যদি মারতে পারে টাংকি। আমি মারলে দোষ কি? বান্ধবী আমার ৯ নম্বর বিপদসংকেত শুনিয়ে বলল, -দেখিস, ভাবী জানলে কিন্তু খবর আছে... -সেই খবর! আমি আগেই মুখস্থ করে রেখেছি -ধুর, তোর সাথে কথায় পারবনা -থাক, আমার কথা। এখন বল তো কি খবর? কি মনে করে ফোন করেছিস?      এবার বান্ধবী একেবারে চুপসে গেলো। সে নাক সিটকে কাঁদো কাঁদো কন্ঠে বলল, -তোর কি হাতে সময় আছে? -জ্যামে যেহেতু আটকে বসে আছি। সময় অফুরন্ত... বান্ধবী দুখানা বড়বড়...

জগা খিচুড়িতন্ত্র

Image
 ব্লগার  আদিকাল থেকে মানুষকে ছলে, বলে, কৌশলে শাসন ও শোষণ করতে যে মন্ত্র মানুষ ব্যবহার করত সেটাই শাসনতন্ত্র নামে অভিহিত। যেমন, রাজতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র, স্বৈরতন্ত্র ও একনায়কতন্ত্র ইত্যাদি। আমাদের সংবিধানে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ লেখা থাকলেও দেশে গনতন্ত্রের লেশমাত্র নাই। দেশে এখন নতুন এক তন্ত্রের উন্মেষ ঘটেছে। এই তন্ত্রকে নির্ধিদ্বায় "জগা খিচুড়িতন্ত্র" বলা যেতে পারে। এখানে রাজতন্ত্র নেই, আবার আছে। যেমন, উত্তরাধিকার পদ্ধতিতে প্রতিনিধি ও পদ নেতাদের সন্তানেরা'ই পায়। জীবনে কোনদিন রাজপথে নামেনি, কোন মিছিলে মিটিংএ শ্লোগান দেয়নি, এমন কেউ শুধুমাত্র বাপকা বেটা অথবা মা কা লাড়কা/লাড়কি হিসেবে বিশাল পদ অলঙ্কৃত করে থাকে। দিব্বি নেতা বনে চলে যায়।   এখানে স্বৈরতন্ত্র নেই, আবার আছে। যেমন, চলমান শাসনব্যবস্থা জনগনের ভাষায় দানবীয় আকার ধারণ করেছে। কোন কথা বলা যাবেনা, কোন প্রতিবাদ করা যাবেনা। জনগনের ভোটাধিকার খর্ব করে অদ্ভুত গনতন্ত্রের আড়ালে যে স্বৈরচারিতা চলছে, সেটা এরশাদের স্বৈরশাসন আমলকেও ছাড়িয়ে গেছে। এখানে ভোট হয়, ভোটার ছাড়া রাতের আঁঁধারে। এখানে সাংসদ...

একটি চশমা ও কলমের গল্প

Image
২০০১ সাল। স্কুলের গন্ডি পেরিয়ে সবেমাত্র কলেজে ভর্তি হয়েছি। ভাল ছাত্র না হলেও নিয়মিত ক্লাস করার দরুণ ভাল ছাত্র হিসেবে পরিচিতি হই। আমি বরাবর মিশুক প্রকৃতির, তাই খুব সহজেই সবার সঙ্গে দ্রুত বন্ধুত্ব হয়ে যায়। ক্লাস না থাকলে আমি তাদের সঙ্গে আড্ডা দেয়, মজা ও মাস্তি করি।  সদ্য যৌবনে পা দেওয়ায় চোখে রঙিন চশমা। যা দেখি তাই ভালো লাগলেও আমি একটু ব্যতিক্রম ছিলাম। প্রেম-ভালবাসার অফার সরাসরি অথবা আকার ইঙ্গিতে পাচ্ছি প্রায়শই। সেগুলো কৌশলে ইগনোর করছি। আমি যে ধোঁয়া তুলশীপাতা তা কিন্তু না। তবে এগুলো আমার পছন্দ হতো না। আমার পছন্দ বরাবরের মত'ই ধোঁয়াশা, মিথ্যে মায়া ও মরিচিকার মত। যা শুধু দুর থেকে হাতছানি দেয়, কাছে টানে না।                   যাইহোক, সেই গল্পে আসি। একদিন ক্লাসে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছি। আড্ডা ও গল্পের ফাঁকে আমার এক বান্ধবী বলে ফেলে, 'কবির, তুমি না খুউব সুন্দর। তোমাকে আমার খুউব ভালো লাগে। আমি তোমাকে ভালবাসি।' শুনে টাস্কি খেয়ে গেলাম। হুট করে এমন কথা শুনবো, ভাবিনি। কিছুটা থ'মেরে বসে রইলাম। তারপর নিরবতা ভেঙে এটাকে গল্পের একটা অ...

একজন ব্লগার

Image
আমি একজন ব্লগার। সেইসাথে একজন রাজনৈতিক বিশ্লেষক, কবি, গীতিকার ও গল্পকার। সর্বপরি একজন মানুষ। আমি লিখনী শক্তি দিয়ে দেশ ও সমাজের অন্যায় ও অনিয়মের প্রতিবাদ করার চেষ্টা করি। লেখনীর মাধ্যমে মানুষের বিবেককে জাগ্রত করার চেষ্টা করি। অনেকের মতে, আমি নিজের খেয়ে বনের মহিষ তাড়ায়। এই কথাগুলো পড়ে কেউ হয়তো হাসছেন, কেউবা ভাবছেন একটু বেশি হয়ে গেলো। নিজের ঢোল নিজেই পেটাচ্ছে। তাদের বলি, ভাইরে নিজের ঢোল নিজের'ই পেটানো ভালো। অন্যকেউ পেটালে ফেটে যাওয়ার আশংকা থাকে। হা হা হা...              সত্য কথা হচ্ছে, আমি লিখতে ভালবাসি। স্বপ্ন দেখতে ভালবাসি। মানুষকে ভালো বাসতে ভালবাসি। অন্যের উপকারে নিজেকে সর্বদা প্রস্তুত রাখতে ভালবাসি। চেষ্টা করি, কারোর বিপদে সাধ্যমতো পাশে দাঁড়াতে। মানুষ হিসেবে দোষ গুণ থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। আমার দোষ বা ভুল কেউ ধরিয়ে দিলে, তার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকি। তাই নিন্দুকেরেও আমি ভালবাসি। সমাজের অন্যায়, অনিয়ম ও অবিচার আমাকে খুবই ভাবায়। যেটা আমি কিছুতেই মানতে পারিনা। আমাকে মারাত্মকভাবে প্রতিবাদী করে তোলে। অনেক হুমকি-ধামকি আসে, অনেকে লিখতে মানা করে। তবুও আমি আ...