Posts

Showing posts from January, 2020

ভোট দিমু দিনে না রাতে?

Image
আমি সাধারণত মোবাইলের ম্যাসেজ দেখি না। বিভিন্ন অফারের আজাইরা ম্যাসেজ না দেখেই ঠাশঠাশ করে ডিলিট মারি। তো ম্যাসেজ ডিলিট মারতে গিয়ে একটি ম্যাসেজ দেখে থমকে গেলাম।  ঢাকা উত্তরে মেয়র আতিকুল সাহেবের ম্যাসেজ। যিনি নয় মাস আগে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মেয়র হয়েছিলেন। ম্যাসেজটি হলো 'আতিকুল ইসলামকে ... ভোট দিন। উন্নয়নের অংশ নিন।' ম্যাসেজটি পড়ে আমি চিন্তায় পড়ে গেলাম। আতিক সাহেব ভোট দিতে বলেছেন ঠিক আছে। কিন্তু ভোট দিনে দিবো না রাতে দিবো তা কিছুই বলেন নি।  এর আগে নির্বাচনের সময়, আতিক সাহেব জনগনকে সকাল সকাল নিজ নিজ বাসা থেকে গরম খিচুড়ি খেয়ে ভোট কেন্দ্রে যেতে বলেছিলেন। এবার এখনো সেরকম কিছু বলেন নি। তবে এবার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আছে। তাই আশা করবো, আপনি ক্লিয়ার ম্যাসেজ দিবেন। আমি রাতে ডিনার সেরে উন্নয়নের ঢেঁকুর তুলে ভোট দিতে যাবো। রাতে ভোট দেওয়ার আমার খুবই শখ। গতবছর রাতে আমার চাচাতো ভাই ক্রিকেটার ব্রায়ান লারার ৪'শ ষ্টেটের রানের রেকর্ডটা ভেঙ্গে দিয়েছে ভোট দিয়ে। সে রাতে একাই ৫'শ ভোট দিছে।  ভোট দিয়ে এসে সকালে আমাকে বলল, 'ভাই, তোর কাছে প্যারাসিটামল আছে।' বললাম, ...

অদ্ভুত কিসিমে’র বাঙালি

আগারগাঁওয়ের আইডিবি ভবনে গেছি। এক কম্পিউটারের দোকানে গিয়ে বললাম,  'ভাই, ভিডিও এডিটিং ও গেমিংএর জন্য মাঝারি মানের কম্পিউটারের একটা কোটেশন দিন।' দোকানের কর্মচারী ৭০ হাজার ৩ শত টাকা দামের কম্পিউটারের কোটেশন দিল। ইন্টেলের কোর আই-৫ এর প্রসেসরের দাম ২০ হাজার ৫ শত টাকা দেখে জিজ্ঞেস করলাম, 'ভাই, এই প্রসেসরের দাম তো ১৬ হাজার সামথিং...' কর্মচারী বলে উঠে, 'ছিল তবে এখন বাড়ছে।' বললাম, 'প্রযুক্তির দাম দিন দিন কমে শুনেছি। আর আপনি বলছেন বাড়ছে! ঘটনা কী? কর্মচারী ঝটপট উত্তর দিল। 'করোনা ভাইরাস।' ভাইরাস কম্পিউটার ক্র‍্যাশ করে। এখন দেখছি, দামও বাড়ায়! অবাক কান্ড! আমি থ মেরে আছি দেখে সে বলল, 'প্রযুক্তির একটা বড় অংশ আসে চীন থেকে। করোনা ভাইরাসের জন্য কোন প্রডাক্ট বাংলাদেশে আসছে না।' আমি কোন কথা না ওঠে আসি। মনে মনে বলি, 'অদ্ভুত কিসিমে’র এই বাঙালী। যখন কারোর ফাঁটে, তখন বাঁশের গিরা গুণে ব্যবসা করে।' 

সাচ্চা কুত্তার বাচ্চা

গতকাল রাতে অফিস থেকে বাসায় ফিরছি। বাংলাদেশ বেতার সেন্টারের কাছাকাছি এসে দেখি, একটা ছোটোখাটো হট্টগোল। ঘটনাটি কী? জানার জন্য কাছে এগিয়ে বুঝলাম। মোটর সাইকেলকে পেছন থেকে চাপা দিছে মিনি মাইক্রোবাসটি। আমি মাইক্রোবাসটির সামনের গ্লাসে তাকিয়ে অবাক হয়ে গেলাম। লেখা আছে 'গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার' সড়ক ও সেতু মন্ত্রনালয়। তারমানে ফাঁটাকেষ্ট খ্যাত ওবায়দুল কাদের সাহেবের মন্ত্রনালয়ের গাড়ি। আর এই মাইক্রোবাসটি পেছন থেকে যে মোটর সাইকেলকে ধাক্কা দিছে, সে মোটর সাইকেল কোন জনসাধারণের না স্বয়ং যমের মোটর সাইকেল মানে পুলিশের। পুলিশ ড্রাইভারকে 'সরি' বলতে বলছে। কিন্তু  ড্রাইভার 'সরি' বলবে না। বলবেই বা কেন? ড্রাইভার হচ্ছে সড়ক ও সেতু মন্ত্রনালয়ের লোক। 'সরি' বললে ফাঁটাকেষ্ট'র মান থাকবো? পুলিশও দমে যাওয়ার পাত্র না। সরকারের পাছায় সুপারগ্লু আঠা লাগিয়ে ক্ষমতায় বসিয়ে রাখছে। সরকারও এদের ঘুষ খাওয়া থেকে শুরু করে গু খাওয়া সব হালাল করে দিছে। ড্রাইভারের কাছে টাকা চেয়ে বসেনি, এটা ওর চোদ্দগুষ্টির ভাগ্য।  আমার খুব ইচ্ছে করছিল, কুত্তায় কুত্তায় কামড়াকামড়ির শেষ দৃশ্য পর্যন...

১৭ ই জানুয়ারী: A wedding day

Image
জানুয়ারী মাস ২০১৪ সাল। বিতকির্ত এক তরফা নির্বাচন পরবর্তী সময়; যখন পুরো দেশটা সহিংসতায় উত্তাল, বেসামাল ও টালমাটাল। ঢাকার পরিস্থিতি তখন ভয়াবহ অবস্থা। ভয় আর আতঙ্কের মধ্যে দিয়ে চলছি। একদিন সন্ধ্যায়, ধানমণ্ডি-১৫ তে হঠাৎ ককটেল বিস্ফোরণ হয়। সেইসাথে গোলাগুলি শুরু হয়ে যায়। আমি দৌড়ে কেএফসির পাশে একটি এটিএম বুথের মধ্যে ঢুকে পড়ি। প্রাণ রক্ষাতে গাদাগাদি করে ভিতরে চুপসে ছিলাম অনেকক্ষণ। এরকমই ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে আমার জীবনযুদ্ধও চলছে। মিরপুরে ডিজিল্যাবে আমার চাকরি হয়েছে। হাতে সময় নিয়ে জয়েন্টও করেছি। কাজী ফার্ম লিঃ এর দীপ্ত টিভি'র রাইটিং ওয়ার্কশপে ট্রেনিং করছি। আবার বর্তমান চাকরিটাও করছি। প্রচন্ডরকম ব্যস্ততা। সকালে ঘুম থেকে উঠে নাস্তা খেয়ে দৌড়ে দীপ্ত টিভি র রাইটিং ওয়ার্কশপে যেতাম। সেখান থেকে বের হয়ে তিনটায় ছুটে অফিসে যেতাম। অফিস শেষে রাত এগারোটায় বাসায় ফিরে চারটে ডালভাত নাকেমুখে দিয়েই ল্যাপটপ নিয়ে বসতাম। রাত জেগে দীপ্ত টিভি র এসাইনমেন্ট তৈরি করতাম। মাথার উপর প্রচন্ডরকমের চাপ। খাচ্ছি ডান হাতে, কাজ করছি বাম হাতে। বাথরুমেও যাচ্ছি ল্যাপটপ নিয়ে। দম ফেলার সময়ও নাই। দেশটার মতই আমারও অবস্...