Posts

Showing posts from November, 2018

প্রতিবাদী ভাষা

Image
প্রতিবাদী গতকাল রাতে লেগুনায় চড়ে বাসায় ফিরছি। হটাৎ একটা প্রাইভেট কার মাঝপথে লেগুনার সামনে ক্রস করে পথ আটকায়। তারপর কার থেকে কয়েকজন যুবক রেব হয়ে লেগুনার ড্রাইভারকে এলোপাথাড়ি মারা শুরু করে দেয়। আমরা কিছু বুঝে উঠার আগেই, ড্রাইভারের হাতটা হ্যাঁচকা টান দিয়ে মট করে ভেঙে দিলো। এমন ঘটনা দেখে, লেগুনা থেকে বের হয়ে ছুটে গেলাম। তখন ঘটনাটা কি সেটা জানা মূখ্য বিষয় না। সবাই লোকটিকে বাঁচানোর জন্য বলছি, -"ভাই, ভাই যা হওয়ার হয়েছে। মাপ করে দিন" আমাদের কথা তো শুনছেই না, উল্টো রিএ্যাক্ট করেই যাচ্ছে। লেগুনার লুকিং গ্লাস ভাঙ্গলো, সামনের গ্লাস পরিস্কার করার এন্টেনা ভেঙে ফেললো, সেইসাথে ড্রাইভারকে তো মার চলছে। আমরা ঠেকাচ্ছি আর রিএ্যাক্টশন দেখছি। ঠেকালেই তাদের রিএ্যাক্টশন আরও দ্বিগুণ বেড়ে যায়। দেখে মনে হচ্ছে, ধনী আজন্মের ঘরের বেজন্মা পোলাগুলো ড্রিঙ্কস করেছে। ড্রাইভারের অপরাধ হয়ত প্রাইভেট কারকে সাইড দেয় নাই। পুরা রাস্তা জ্যাম লেগেছে। আমি বাংলা সিনেমার নায়ক না যে, ডিসুম ডিসুম মেরে লোকটি উদ্ধার করবো। চোখের সামনে এমন অন্যায় দেখে চুপ করেও থাকতে পারছি না আবার হাত দিয়ে প্রতিবাদ করবো তাও পারছি না।...

হুজুগে বাঙালী ও একটি প্রেম কাহিনী

Image
প্রেমের টানে বাংলাদেশে মার্কিন তরুণী আমরা জাতি হিসেবে যে, হুজুগে বাঙালী! এর প্রমাণ আবারও দিলাম। প্রায়ই সবকটি নিউজ পোর্টালে একটি খবরে সয়লাব। সেটা দেখে আমরা হুমড়ি খেয়ে পড়েছি, মন্তব্য করছি, ফেসবুকে খুব আবেগী ভাষায় স্ট্যাটাস দিচ্ছি, শেয়ার দিচ্ছি, আবার কেউ কেউ হায়-হুতাশও করছি। আহারে, প্রেমের টানে বরিশালে সদূর মিনেসোটা থেকে ছুটে এলো আমেরিকান কন্যা। অথচ, আমার জরিনা। বাড়ির পাশে থেকে এলো না.... খবর: 'প্রেমের টানে বরিশালে মার্কিন তরুণী'। প্রেমের টানে বরিশালে এভাবে আমেরিকান কন্যার চলে আসা এবং নিম্নবিত্ত পরিবারের ছেলে রং মিস্ত্রী অপু মন্ডলকে বিয়ে করার ঘটনায় স্থানীয়রা সবাই হতবাক। সেই সঙ্গে মার্কিন তরুণী সারা মেরিয়ানের সরলতা ও আন্তরিকতাও সবাইকে মুগ্ধ করেছে। আমি প্রথমে ভিম্রী খেয়ে গিয়েছিলাম, সারা ও অপু মণ্ডলের ছবি ফেসবুকে দেখে! এটা কেমনে সম্ভব? পরে ঘটনাটি পড়ে যেটা বুঝলাম, এখানে অবাক হওয়ার কিছুই নেই। সবই ভবের মায়া। ভাবে মজিলে মন, কিবা হরি কিবা ডোম! যাইহোক, প্রথম নিউজটি পড়ার সাথেসাথেই অপু মণ্ডলের টাইমলাইনে ঢুকেছিলাম। তখন তার কোন ফলোয়ার ছিল না। এখন দেখি তার ফলোয়ার হাজার ...

নুরা পাগলা গবেষণা ইনিস্টিউট

Image
অনেকদিন ধরে নুরা পাগলার খবর নাই। নুরা পাগলার খবর জানতে অনেকেই আমাকে ইনবক্স করেছেন। কেউ কেউ আবার ফোনও দিয়েছেন। এখন পরিচিত কারো সাথে দেখা হলে সবার আগে নুরা পাগলার খবর আগে জানতে চাই। তো নুরা পাগলার বাসায় গিয়ে আমি পুরাই অবাক! বাসায়  এক বিরাট সাইনবোর্ড ঝুলছে। সেখানে লেখা আছে "নুরা পাগলা গবেষণা ইনিস্টিটিউট"।  আমি  গুটিগুটি পায়ে গবেষণা কেন্দ্রে প্রবেশ করলাম। নুরা পাগলা একটা যন্ত্র নিয়ে গবেষণা করছে। সেই যন্ত্রটি আমি আবহাওয়া অফিসে দেখেছিলাম। যার নাম এনিমোমিটার। বায়ুর স্প্রীড মাপার যন্ত্র। গলায় খাঁকারি দিয়ে বললাম, -কিরে, আমি এসব কি দেখছি? আমার কণ্ঠ শুনে নুরা পাগলা অবাক হয়ে ছুটে এসে বলল, -গুরু, আপনি! -অনেকদিন তোর খোঁজখবর নেই, তাই এলাম। -গুরু, আপনিও আমার খোঁজখবর রাখেন! -রাখবো কেন? -না মানে, আমার মত পাগল ছাগলের খবর কেউ রাখে? -পাগল বটে, তবে তুই ভবের পাগল  -ঐ একি। তা গুরু কি মনে করে এসেছেন?  -তোর গবেষণা দেখতে এসেছি -ও তাই! তাহলে দেখুন       -হঠাৎ ভিক্ষা ছেড়ে, গবেষক বনে চলে গেলি কিভাবে? -গুরু, সবই চেতনা মেশিনের সুফল।...

নির্বাচনীয় শুভেচ্ছা

Image
অফিসের একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজের খুবই  ব্যস্ত আছি। ঠিক সেইসময়,  হঠাৎ মোবাইলের রিংটোন বেজে উঠে। অপরিচিত নম্বর তবুও গুরুত্বপূর্ণ কল ভেবে রিসিভ করলাম। অপর প্রান্ত থেকে সালাম দিলো, -স্লামালেকুম -ওয়ালাইকুম আসসালাম -বস, ভালো আছেন? -আলহাদুলিল্লাহ, ভালো আছি -'নির্বাচনীয় শুভেচ্ছা' আপনার জন্য। আমি হিউম্যান রিসোর্স অর্গানাইজেশন থেকে বলছি জীবনে অনেক শুভেচ্ছা পেয়েছি। নির্বাচনীয় শুভেচ্ছা জীবনে এই প্রথম পেলাম এবং শুনলামও। তাই কৌতুহলী হয়ে জিজ্ঞেস করলাম, -আপনাদের অর্গানাইজেশনের কাজ কি? -বস, আমরা বিভিন্ন মিছিল মিটিংএ লোক সাপ্লাই করি -বাহ, দারুণ তো! -বস, আপনার কিংবা পরিচিত কারোর লোক সমাগমের দরকার হইলে জানাবেন। দু-আড়াই'শো লোক স্ট্যান্ড বাই আছে। -নির্বাচনের মৌসুমে ব্যবসাটা মন্দ না -বস, বিকাশে টাকা পাঠাবেন আর জানাবেন কখন কার নামে শ্লোগান দিতে হবে মাথায় একটা বুদ্ধি খেলে গেলো। আমার কাজের ব্যাঘাত ঘটাইছে, ব্যাটাকে একটু শায়েস্তা করি। তাই বললাম, -আমার নেতার নামে শ্লোগান দিন। আমি বিকাশে টাকা পাঠাচ্ছি। -বস, এই সামছু টাকার জন্য ওয়েট করে না। অক্ষনি শ্লোগান দিতাসি -ঠিক আছে, দিন ...

নুরা পাগলার নমিনেশন

সকাল বেলায় কলিংবেলের শব্দে দরজা খুলেই অবাক! একহাতে বাটি আর আরেক হাতে একটা কাগজ ধরে নুরা পাগলা দাঁড়িয়ে আছে। দেখে বললাম, -: কীরে, এত সকালে আবার কি পোঁকা মারতে এসেছিস? -: গুরু, এবার কুনো পুকা মারতে আসি নাই। -: তাহলে কেন এসেছিস? -: গুরু, দুয়া নিতি অ্যাইছি -: কিসের দোয়া? -: গুরু, একখান নমিনেশন কিনচি -: নমিনেশন কিনছিস! -: হ' কিনচি, হিরো আলম যদি কিনতে পারে তয় আমিও কম জনপ্রিয় না -: কোন পার্টির থেকে কিনেছিস? -: 'বাংলাদেশ জালালী পাটি' থেইকা -: এইটা আবার কোন পার্টি? -: গুরু, শুনেন নাই। ওইযে... -: ঐযে, কী? : বসেন, বসেন। বইস্যা যান। অ্যাঁই জালালী। হুক্কউ... শুনে অবাক হলাম! এই নামেও পার্টি আছে এবং তারা প্রধানমন্ত্রীর সাথে সংলাপও করেছে। প্রধানমন্ত্রীর সাথে সংলাপ না করলে আমরা এমনকি পার্টির নেতার ঘরের বউও জানতো না 'বাংলাদেশ জালালী পার্টি' নামে কোন পার্টি বাংলাদেশে আছে। সেটা জেনেই নুরা পাগলা 'জালালী পার্টি' থেকে নমিনেশন কিনেছে। হিরো আলম নমিনেশন কিনেছে 'জাতীয় পার্টি' থেকে। শুনেছি, সংসদসদস্য হতে পারলে নাকি মন্ত্রীও হবে। হিরো আলমের কাছে একাদশ সংসদে জাত...