প্রতিবাদী ভাষা

প্রতিবাদী ভাষা
প্রতিবাদী
গতকাল রাতে লেগুনায় চড়ে বাসায় ফিরছি। হটাৎ একটা প্রাইভেট কার মাঝপথে লেগুনার সামনে ক্রস করে পথ আটকায়। তারপর কার থেকে কয়েকজন যুবক রেব হয়ে লেগুনার ড্রাইভারকে এলোপাথাড়ি মারা শুরু করে দেয়।
আমরা কিছু বুঝে উঠার আগেই, ড্রাইভারের হাতটা হ্যাঁচকা টান দিয়ে মট করে ভেঙে দিলো। এমন ঘটনা দেখে, লেগুনা থেকে বের হয়ে ছুটে গেলাম। তখন ঘটনাটা কি সেটা জানা মূখ্য বিষয় না। সবাই লোকটিকে বাঁচানোর জন্য বলছি,
-"ভাই, ভাই যা হওয়ার হয়েছে। মাপ করে দিন"

আমাদের কথা তো শুনছেই না, উল্টো রিএ্যাক্ট করেই যাচ্ছে। লেগুনার লুকিং গ্লাস ভাঙ্গলো, সামনের গ্লাস পরিস্কার করার এন্টেনা ভেঙে ফেললো, সেইসাথে ড্রাইভারকে তো মার চলছে। আমরা ঠেকাচ্ছি আর রিএ্যাক্টশন দেখছি। ঠেকালেই তাদের রিএ্যাক্টশন আরও দ্বিগুণ বেড়ে যায়।

দেখে মনে হচ্ছে, ধনী আজন্মের ঘরের বেজন্মা পোলাগুলো ড্রিঙ্কস করেছে। ড্রাইভারের অপরাধ হয়ত প্রাইভেট কারকে সাইড দেয় নাই। পুরা রাস্তা জ্যাম লেগেছে। আমি বাংলা সিনেমার নায়ক না যে, ডিসুম ডিসুম মেরে লোকটি উদ্ধার করবো।

চোখের সামনে এমন অন্যায় দেখে চুপ করেও থাকতে পারছি না আবার হাত দিয়ে প্রতিবাদ করবো তাও পারছি না। সহ্যের সীমানা অতিক্রম করতেই, মুখ দিয়ে প্রতিবাদ শুরু করে দিলাম। সাথে আরও অনেকে প্রতিবাদ করলো।

অবস্থা বেগতিক দেখে কুত্তার বাচ্চারা কার নিয়ে সটকে পড়তে লাগলো। আমি রাস্তার মাঝখানে দাড়িয়ে আছি। সেইসময়ে, আমার বন্ধুবর এক্স কলিগ মনির ভাই মোটর সাইকেল থেকে ডাক দিলো। অনেকদিন পর হঠাৎই দেখা গেলো। 

আমি গালি দিতে দিতে মোটর সাইকেলে চড়ে বসলাম। মোটর সাইকেলটি কারটির পিছে পিছে যাচ্ছিল। রক্ত তখনও মাথায় উঠে আছে।
বখে যাওয়া মাতাল বেজন্মাদের গালি দেওয়ার আরেকটি সুযোগ পেয়ে গেলাম। প্রাইভেট কারটি কিছু দূর গিয়ে স্লো করলো। আমি মোটর সাইকেলের উপর থেকে ক্ষোভের চোটে দিলাম গালি "শ্লা, বাস্টার্ড কু* বাচ্চা"।

কারের ভিতর থেকে কুত্তাগুলো একসাথে ঘেউঘেউ করে উঠে...

ততোক্ষণে একটানে মোটর সাইকেলে নিরাপদ দুরত্বে চলে গেলাম। কুত্তাগুলো পিছু ছুটেছিল কিনা ফিরে দেখি নাই।

মোরাল: অন্যায়কারীর মতো অন্যায় দেখে চুপ থাকাও সমান অপরাধী।।

Comments

জনপ্রিয় ব্লগসমূহ

ইবলিশ শয়তান

প্রিপেইড মিটার বিড়ম্বনা

একটি চশমা ও কলমের গল্প

আলাদিনের দৈত্য

কাঙ্গালি ভোজ

মুরগী কবির

জন্মদিনের সারপ্রাইজ

এ তালা ভাঙবো কেমন করে

কাছে আসার গল্প

ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ