নুরা পাগলার নমিনেশন
সকাল বেলায় কলিংবেলের শব্দে দরজা খুলেই অবাক! একহাতে বাটি আর আরেক হাতে একটা কাগজ ধরে নুরা পাগলা দাঁড়িয়ে আছে। দেখে বললাম,
-: কীরে, এত সকালে আবার কি পোঁকা মারতে এসেছিস?
-: গুরু, এবার কুনো পুকা মারতে আসি নাই।
-: তাহলে কেন এসেছিস?
-: গুরু, দুয়া নিতি অ্যাইছি
-: কিসের দোয়া?
-: গুরু, একখান নমিনেশন কিনচি
-: নমিনেশন কিনছিস!
-: হ' কিনচি, হিরো আলম যদি কিনতে পারে তয় আমিও কম জনপ্রিয় না
-: কোন পার্টির থেকে কিনেছিস?
-: 'বাংলাদেশ জালালী পাটি' থেইকা
-: এইটা আবার কোন পার্টি?
-: গুরু, শুনেন নাই। ওইযে...
-: ঐযে, কী?
: বসেন, বসেন। বইস্যা যান। অ্যাঁই জালালী। হুক্কউ...
শুনে অবাক হলাম! এই নামেও পার্টি আছে এবং তারা প্রধানমন্ত্রীর সাথে সংলাপও করেছে। প্রধানমন্ত্রীর সাথে সংলাপ না করলে আমরা এমনকি পার্টির নেতার ঘরের বউও জানতো না 'বাংলাদেশ জালালী পার্টি' নামে কোন পার্টি বাংলাদেশে আছে।
সেটা জেনেই নুরা পাগলা 'জালালী পার্টি' থেকে নমিনেশন কিনেছে। হিরো আলম নমিনেশন কিনেছে 'জাতীয় পার্টি' থেকে।
শুনেছি, সংসদসদস্য হতে পারলে নাকি মন্ত্রীও হবে। হিরো আলমের কাছে একাদশ সংসদে জাতি নাচ-গান দেখার আশা করতেই পারে কিন্তু নুরা পাগলা কাছে জাতি কি আশা করবে?
যাইহোক, নুরা পাগলা এদেশের নাগরিক হিসেবে নমিনেশন কিনতেই পারে। এটা তার গনতান্ত্রিক অধিকার। তাছাড়া কোথাও লেখা নেই, সংবিধান না জানলে সংসদসদস্য হওয়া যাবেনা। আমি নুরা পাগলারে কংগ্রাচুলেশনস জানিয়ে বললাম,
-: তা বাটিতে বুঝি মিষ্টি নিয়ে এসেছিস? দে মিষ্টিমুখ করি
-: গুরু, মিষ্টি না। এক বাটি ধুলা আনছি
-: কীহ! ধুলা?
-: জ্বী, ছ'তলায় আপনার ফ্লাটে ধুলা নাই তাই রাস্তা থেইকা আনছি
-: আমি ধুলা দিয়ে কি করবো?
-: কিচ্ছু না। শুধু পা দিয়ে মাড়াইবেন
-: মানে?
-: আপনার পদধুলি নেবো
নুরা পাগলা আমাকে গুরু মানে। তার কোন কাজ শুরু করার আগে আমার কাছে এসে আশির্বাদ নিয়ে যায়। আমি নুরা পাগলাকে পদধুলি দিয়ে বললাম,
-: তুই পার্লামেন্টে গিয়ে কি করবি?
-: মমতাজ আফা যা করে
-: মমতাজ আপা তো গান গায়
-: আমিও গাইবো
-: কি গান?
-: কি বাত্তি জ্বালাইলি, ওরে অ মাইনকা। থুক্কু মাননীয় স্পীকার।।।।।
মোদ্দাকথা: আমাদের দেশের সংসদ এখন সঙ'দের আস্তানা হয়ে গেছে। সেখানে একদল এন্টারটেইনার জনগনের টাকায় মজা মাস্তি করছে। এসব দেখে, পাল্লা দিয়ে চোর-বাটপার চাটুকার থেকে শুরু করে শিক্ষক বুদ্ধিজীবী সবাই লাইন ধরেছে।
অথচ একটি জাতির জন্য সংসদ হচ্ছে, একটি পবিত্র জমিন। যে জমির আইল ঠিক রাখতে হয়। সঠিকভাবে লাঙল চালাতে হয়। শস্য বপনের জন্য উপযুক্ত করতে হয়। তারপর সঠিক সময়ে সঠিক ফসলটি ফলিয়ে গোলা ভরতে হয়। সেটা করার জন্য দরকার সুদক্ষ কৃষক। কোন কোট-টাই পড়া ভদ্রলোক কিংবা ইতরের পক্ষে সম্ভব না।।
-: কীরে, এত সকালে আবার কি পোঁকা মারতে এসেছিস?
-: গুরু, এবার কুনো পুকা মারতে আসি নাই।
-: তাহলে কেন এসেছিস?
-: গুরু, দুয়া নিতি অ্যাইছি
-: কিসের দোয়া?
-: গুরু, একখান নমিনেশন কিনচি
-: নমিনেশন কিনছিস!
-: হ' কিনচি, হিরো আলম যদি কিনতে পারে তয় আমিও কম জনপ্রিয় না
-: কোন পার্টির থেকে কিনেছিস?
-: 'বাংলাদেশ জালালী পাটি' থেইকা
-: এইটা আবার কোন পার্টি?
-: গুরু, শুনেন নাই। ওইযে...
-: ঐযে, কী?
: বসেন, বসেন। বইস্যা যান। অ্যাঁই জালালী। হুক্কউ...
শুনে অবাক হলাম! এই নামেও পার্টি আছে এবং তারা প্রধানমন্ত্রীর সাথে সংলাপও করেছে। প্রধানমন্ত্রীর সাথে সংলাপ না করলে আমরা এমনকি পার্টির নেতার ঘরের বউও জানতো না 'বাংলাদেশ জালালী পার্টি' নামে কোন পার্টি বাংলাদেশে আছে।
সেটা জেনেই নুরা পাগলা 'জালালী পার্টি' থেকে নমিনেশন কিনেছে। হিরো আলম নমিনেশন কিনেছে 'জাতীয় পার্টি' থেকে।
শুনেছি, সংসদসদস্য হতে পারলে নাকি মন্ত্রীও হবে। হিরো আলমের কাছে একাদশ সংসদে জাতি নাচ-গান দেখার আশা করতেই পারে কিন্তু নুরা পাগলা কাছে জাতি কি আশা করবে?
যাইহোক, নুরা পাগলা এদেশের নাগরিক হিসেবে নমিনেশন কিনতেই পারে। এটা তার গনতান্ত্রিক অধিকার। তাছাড়া কোথাও লেখা নেই, সংবিধান না জানলে সংসদসদস্য হওয়া যাবেনা। আমি নুরা পাগলারে কংগ্রাচুলেশনস জানিয়ে বললাম,
-: তা বাটিতে বুঝি মিষ্টি নিয়ে এসেছিস? দে মিষ্টিমুখ করি
-: গুরু, মিষ্টি না। এক বাটি ধুলা আনছি
-: কীহ! ধুলা?
-: জ্বী, ছ'তলায় আপনার ফ্লাটে ধুলা নাই তাই রাস্তা থেইকা আনছি
-: আমি ধুলা দিয়ে কি করবো?
-: কিচ্ছু না। শুধু পা দিয়ে মাড়াইবেন
-: মানে?
-: আপনার পদধুলি নেবো
নুরা পাগলা আমাকে গুরু মানে। তার কোন কাজ শুরু করার আগে আমার কাছে এসে আশির্বাদ নিয়ে যায়। আমি নুরা পাগলাকে পদধুলি দিয়ে বললাম,
-: তুই পার্লামেন্টে গিয়ে কি করবি?
-: মমতাজ আফা যা করে
-: মমতাজ আপা তো গান গায়
-: আমিও গাইবো
-: কি গান?
-: কি বাত্তি জ্বালাইলি, ওরে অ মাইনকা। থুক্কু মাননীয় স্পীকার।।।।।
মোদ্দাকথা: আমাদের দেশের সংসদ এখন সঙ'দের আস্তানা হয়ে গেছে। সেখানে একদল এন্টারটেইনার জনগনের টাকায় মজা মাস্তি করছে। এসব দেখে, পাল্লা দিয়ে চোর-বাটপার চাটুকার থেকে শুরু করে শিক্ষক বুদ্ধিজীবী সবাই লাইন ধরেছে।
অথচ একটি জাতির জন্য সংসদ হচ্ছে, একটি পবিত্র জমিন। যে জমির আইল ঠিক রাখতে হয়। সঠিকভাবে লাঙল চালাতে হয়। শস্য বপনের জন্য উপযুক্ত করতে হয়। তারপর সঠিক সময়ে সঠিক ফসলটি ফলিয়ে গোলা ভরতে হয়। সেটা করার জন্য দরকার সুদক্ষ কৃষক। কোন কোট-টাই পড়া ভদ্রলোক কিংবা ইতরের পক্ষে সম্ভব না।।
Comments
Post a Comment
আপনার মূল্যবান মতামত দিন