Posts

Showing posts from October, 2018

ইতিহাসের কলঙ্কিত অধ্যায়

আজ ২৮ অক্টোবর। ২০০৬ সালের এই দিনে এদেশের রাজনীতির ইতিহাসে এক কলঙ্কিত অধ্যায় রচিত হয়। প্রকাশ্য দিবালোকে লগি বৈঠা দিয়ে নৃশংসভাবে  সাপের মতো পিটিয়ে মানুষ মারার এবং সেই লাশের উপর নৃত্য উল্লাস করার মতো ঘটনা পৃথিবীর ইতিহাসে  নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়। এই লোমহর্ষক ও বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড দেশ ও সারা বিশ্বের মানুষ বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে দেখে হতবাক হয়ে গিয়েছিল। গোটা বিশ্বের বিবেকবান মানুষের হৃদয় নাড়া দিয়েছিল। একটি স্বাধীন রাষ্ট্রে শুধুমাত্র রাজনৈতিক মতাদর্শের ভিন্নতার কারনে প্রকাশ্য ক্যামেরার সামনে পিটিয়ে মানুষ হত্যা করার মধ্য দিয়ে একটি গোষ্ঠী একটি নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছিল। যার ধারাবাহিকতা এখনো অব্যাহত। রাজন বা বিশ্বজিতের মত হতভাগা'রা তার প্রমাণ। আমি সকল বিচার বহির্ভূত হত্যাকে ঘৃর্না করি। আশা করব ২৮ অক্টোবরে নিহত মানুষগুলোর পরিবার একদিন নিশ্চয় হত্যাকারীদের সাজা দেখতে পারবে। ইতিহাস কোন খুনিকেই ক্ষমা করেনি। কখনো করবে না।।

পল্টিবাজ রাজনীতিবিদ

"আমি ভোর রাতে স্বপ্নে দেখেছি এই মসজিদে নামাজ পড়ছি। আর তাই আজ জুম্মায় আপনাদের সাথে নামাজ পড়তে এসে গেছি। আল্লাহর পেয়ারা বান্দারা ভালো ভালো স্বপ্ন দেখেন, আমিও দেখেছি” একটি গ্রামের মসজিদে জুম্মার নামাজ শেষে কাঁপাকাঁপা স্বরে হু. মু. এরশাদ সাহেব ভাষণ দিলেন। তখন তিনি বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। উনি যেই মসজিদে দাঁড়িয়ে ভাষণ দিয়েছিলেন, সেই মসজিদের এক মাস আগে থেকেই সংস্কার কাজ চলছিল আল্লাহর পেয়ারা বান্দা এরশাদ সাহেব আসবেন বলে। আর শেষ ১৫ দিন থেকে তার বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী পাহারা দিচ্ছিলেন মসজিদটি। উনার সেই ভাষণ শুনে মুসল্লিরা হাততালি দিতে দিতে মাথার টুপি খুলে ফেলে ছিলেন। ঝাঁকুনির চোটে খুলে পড়া টুপি উঠিয়ে আবার সেই হাততালি... তিনি একবার বলেন, 'জোটে নেই'। আরেকবার বলেন ‘জোটে আছেন’। আজকে বলছেন, বিএনপি নির্বাচনে না এলে তিন'শ আসনে প্রার্থী দিবেন'। তার মানে, ‘তিনি জোটে নেই কিন্তু নির্বাচনে আছেন’... আগামীতে হয়তো বলবেন, ‘আমি ছাগল'! তার পরেরদিন বলবেন, ‘আমি ছাগল না, আমি পাগল’। এরপর হয়তো বলবেন ‘আমি ছাগলও না, পাগলও না! আমি আসলে ভেড়া! বিদেশী ভেড়া, ব্ল্যাকশিপ ব্যা...ব্যা... ...

কপাল পোড়া বিএনপি

খরদুপুরে, হঠাৎ এক লোককে ভোঁদৌড় দিতে দেখে কৌতুহলী হয়ে জিজ্ঞেস করলাম, -এইযে ভাই, আপনি দৌড়াচ্ছেন কেন? চোখে মুখে আতঙ্ক নিয়ে লোকটি বলল, -ভাই, আকাশে সিঁদুরে মেঘ -সিঁদুরে মেঘ! আপনি কি ঘর পোড়া গরু? -নারে ভাই, কপাল পোড়া বিএনপি -তো কি হয়েছে? -আকাশে আগুন লেগেছে, অতএব ধর পাকড় শুরু হয়ে যেতে পারে... -বলেন কী!! -বলি কি সাধে, বজ্রপাতের শব্দেও হয়! বোমা বিস্ফোরণের মামলা!! খবর: গত ১৩ অক্টোবর রাতে তুমুল বৃষ্টিপাতের সাথে বিকট শব্দে বজ্রপাতও হয়। পরদিন ১৪ অক্টোবর পুলিশ বাদী হয়ে থানায় বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে বলে মামলা করেন। আর তাতে আসামি করা হয় দেড়শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মীদের। বজ্রপাতের শব্দকে ‘বোমা বিস্ফোরণ’ হিসেবে চালিয়ে দিয়েছে পুলিশ।।

স্বাধীনতা

আমি শখের বশে লেখালিখি করি। লেখার জনপ্রিয়তা অথবা সস্থা লাইকের জন্য লিখি না। বিবেকের তাড়না থেকে রাত জেগে, আরামের সময়টুকু বিসর্জন দিয়ে লেখার চেষ্টা করি। যেটা জানানো বা লেখার দরকার মনে করি লিখি। যদি কারো ভালো লাগে সেটা আমার জন্য বাড়তি পাওয়া। ব্লগ ও ফেসবুকে লেখার সুবাদে প্রতিদিনই ভালবাসা ও প্রসংশা পাঠকের কাছ থেকে পায়। আর এই পাওয়াটাই আমাকে দ্বায়িত্ব বাড়িয়ে দিচ্ছে দিন দিন। এখন দুই/তিন দিন না লিখলে অনেকেই ম্যাসেজ করে, ফোন দেয় নতুন লেখার খবর জানতে চাই। এটা আমার মত নগন্য মানুষের জন্য অনেক বড় পাওয়া। কিন্তু যতবার লিখতে বসি। মনে হয়, কেউ যেন ঘাড়ের উপর নিঃশ্বাস ফেলছে। শীতল নিঃশ্বাস। বন্দুকের নল তাক করে আছে। গাঢ় অন্ধকারের মত তাদের পোশাক। গা থেকে ভুড়ভুড় করে মৃত্যুর গন্ধ আসে। বুট ও বুলেটের শব্দে এই বুঝি ভারী হয়ে উঠবে চারিপাশ। একবার লিখি, আরেকবার মুছে ফেলি। ব্যাকস্পেস বাটনটা বড্ড নিরাপদ এখন। জানিনা কবে এই আতংকের সংস্কৃতির কালো রাত ভেদ করে হবে ভোর। আসবে স্বাধীনতা।। 

ক্যান্সারের ট্রিটমেন্ট

এক বন্ধু আমাকে ফোন দিয়ে বলল, -দোস্ত, তোর ভাবিকে ডাক্তার কিছু টেস্ট দিয়েছে শুনে বললাম, -সমস্যা নাই, অফিসে আসিস। টেস্টগুলো করে দিবো নে... -সমস্যা তো একটা আছে -কি সমস্যা? -তোর ভাবি সুঁচ দেখলে ভয় পায় আর রক্ত দেখলে ফিট হয়ে যায় -তাইলে, একটা কাজ কর। তুই আইনমন্ত্রীর কাছে নিয়ে যা -ইয়ার্কি মারছিস? -আরে নাহ, আইনমন্ত্রীই একমাত্র ডাক্তার! যিনি কোন পরিক্ষা নিরিক্ষার ছাড়াই রোগ নির্ণয় করতে পারে -বলিস কী! -হ্যাঁ, সাবেক বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার ক্যান্সার তো উনিই ধরেছিলেন। সেইজন্যি সিনহা বাবু চিকিৎসা নিতে বিদেশ গেছেন বন্ধুর রাজনৈতিক জ্ঞান খুব ভালো। সে চট করে বলল, -হ' শুনেছিলাম, উনি ক্যান্সারে আক্রান্ত। এখন আবার আইনমন্ত্রীর মুখে শুনি, উনাকে আদালতের মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে অবাক হয়ে বললাম, -নিশ্চয়ই, আদালতের মাধ্যমে ক্যান্সারের ট্রিটমেন্ট করবে।।

প্রশ্নপোঁকা নুরু

আমি ক্ষুদ্র জ্ঞানের মানুষ। সেই ভয়ে, সবসময় নুরা পাগলা ওরফে নুরুর কাছ থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করি। ওর মাথায় সবসময় প্রশ্নপোঁকা গিজগিজ করে। আমাকে দেখলেই সেই পোঁকাগুলো কিলবিল করে ওঠে। যথাসাধ্য সেই পোঁকাগুলো আমি মাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করি। আর সেই কারনেই, নুরু আমাকে গুরু মানে... পথিমধ্যে আমাকে দেখে নুরু বলল, -গুরু, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন কি? বললাম, -অপরাধীদের নিরাপত্তা দেয়া আর অপরাধ প্রতিরোধকারীদের শাস্তি দেয়ায় হচ্ছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। -বুজলাম না? -শোন, ডাকাতি করলে আগে যেমন শাস্তির বিধান ছিল। তেমন এই আইনে ডাকাতি প্রতিরোধ করতে চাইলেও শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। -কি ক'ন গুরু! -হুমম, অন্যায় দেখবি_শুনবি মাগার প্রতিবাদ করে কিছু বলতে পারবি না। নুরু মাথা চুল্কাতে চুল্কাতে বলল, -থাক, আর কিছু কমু না...