পল্টিবাজ রাজনীতিবিদ

"আমি ভোর রাতে স্বপ্নে দেখেছি এই মসজিদে নামাজ পড়ছি। আর তাই আজ জুম্মায় আপনাদের সাথে নামাজ পড়তে এসে গেছি। আল্লাহর পেয়ারা বান্দারা ভালো ভালো স্বপ্ন দেখেন, আমিও দেখেছি”
একটি গ্রামের মসজিদে জুম্মার নামাজ শেষে কাঁপাকাঁপা স্বরে হু. মু. এরশাদ সাহেব ভাষণ দিলেন। তখন তিনি বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ছিলেন।

উনি যেই মসজিদে দাঁড়িয়ে ভাষণ দিয়েছিলেন, সেই মসজিদের এক মাস আগে থেকেই সংস্কার কাজ চলছিল আল্লাহর পেয়ারা বান্দা এরশাদ সাহেব আসবেন বলে। আর শেষ ১৫ দিন থেকে তার বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী পাহারা দিচ্ছিলেন মসজিদটি।

উনার সেই ভাষণ শুনে মুসল্লিরা হাততালি দিতে দিতে মাথার টুপি খুলে ফেলে ছিলেন। ঝাঁকুনির চোটে খুলে পড়া টুপি উঠিয়ে আবার সেই হাততালি...

তিনি একবার বলেন, 'জোটে নেই'। আরেকবার বলেন ‘জোটে আছেন’।
আজকে বলছেন, বিএনপি নির্বাচনে না এলে তিন'শ আসনে প্রার্থী দিবেন'। তার মানে, ‘তিনি জোটে নেই কিন্তু নির্বাচনে আছেন’...

আগামীতে হয়তো বলবেন, ‘আমি ছাগল'! তার পরেরদিন বলবেন, ‘আমি ছাগল না, আমি পাগল’। এরপর হয়তো বলবেন ‘আমি ছাগলও না, পাগলও না! আমি আসলে ভেড়া! বিদেশী ভেড়া, ব্ল্যাকশিপ ব্যা...ব্যা...

এসব শুনে আমরা হাততালি দিয়েই যাবো। বাহবা দিয়ে যাবো। আমাদের সমস্যা আসলে এরশাদ নন; হাসিনা কিংবা খালেদা জিয়া নন। আমাদের সমস্যা আসলে আমরাই। আমাদের অন্ধ বিশ্বাস।

আর সেই কারণে, আমরা ভুগি এবং তার খেসারত দেয়। ফটকাবাজ, পল্টিবাজ রাজনীতিবিদরা শুধু আমাদের ভুলের খেসারতের ফসল, তাদের ঘরে তোলে। এইটুকুই তাদের কৃতিত্ব...

যেটা দেখে, হাততালি দিতে দিতে ঝাঁকুনির চোটে মাথা খুলে যদি পড়েও যায়। সেই মাথা বগল দাবা করে, আমরা হাততালি দিয়েই যাবো...

Comments

জনপ্রিয় ব্লগসমূহ

ইবলিশ শয়তান

প্রিপেইড মিটার বিড়ম্বনা

একটি চশমা ও কলমের গল্প

আলাদিনের দৈত্য

কাঙ্গালি ভোজ

মুরগী কবির

জন্মদিনের সারপ্রাইজ

এ তালা ভাঙবো কেমন করে

কাছে আসার গল্প

ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ