একজন ষাঁড়ের আত্মহত্যার চেষ্টা

একজন ষাঁড়ের আত্মহত্যার চেষ্টা

নিজ চেতনার ফিল্টারে নিজেই আটকা পড়ে ক্ষোভে, দুঃখে ও লজ্জায় গলায় দড়ি দিয়ে মরতে চান স্যার মুহাম্মদ জাফর ইকবাল। যিনি আমাদের ড্রোন বি-জ্ঞানী খ্যাত জাফ্রিকবাল ষাঁড়। আজ জাতি তার শোকে শোকাহত, মর্মাহত। কয়েকদিন সেটা থাকবে অব্যাহত।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশপ্রেমিক ও মুক্তিযোদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির ছাত্রলীগের সোনার ছেলের দ্বারা লাঞ্চিত হয়ে নিহতের কাছাকাছি পৌছে মর্মান্তিকভাবে আহত হয়েছেন, আমাদের ষাঁড়ের স্ত্রী প্রফেসর ইয়াসমিন হক। সেই দুঃখে ষাঁড় ক্ষুব্ধ হয়ে বলেছেন,
‘যে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল, সে স্লোগাননের এতো বড় অপমান আমার জীবনে দেখিনি। আমি অত্যন্ত ক্ষুব্ধ, তারা জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে হামলা করেছে। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হয়ে থাকে, তাহলে এদের শিক্ষক হিসেবে আমার গলায় দড়ি দিয়ে মরে যাওয়া উচিৎ'।

তাই ষাঁড় ছাত্রলীগের উপর রাগ ও অভিমান করে বৃষ্টিতে আজ অনেক ক্ষণ ভিজেছেন। সেটা বৃষ্টিবিলাশ ছিলনা, ছিল চেতনার যাতনা বিলাশ।

ষাঁড়ের রাগ ভাঙতে শিক্ষামন্ত্রীর ফোন দিয়েছেন, 
-আপনি রাগ করে বৃষ্টিতে ভিজবেন না স্যার। ঠান্ডা লেগে যাবে
ষাঁড় অভিমানের সুরে বলে,  
-আমি এর বিচার চাই
-স্যার, কি ছেলে মানুষী করছেন। সোনার ছেলেরা একটু নাহয় দুষ্টুমী করেছে। তাই বলে আপনি এমন করবেন। 
-আপনি বিচার করবেন কিনা বলুন।

এবার শিক্ষামন্ত্রী ক্ষেপে গিয়ে বলেন, 
-বিচার না করলে আপনি কী করবেন?
-২০০৫ সালে যা করছিলাম। তা'ই করবো...

শিক্ষামন্ত্রী চিন্তায় পড়ে গেলেন! ষাঁড় কি মিন করে এমন কথা বলছেন? উনি তো আমেরিকায় ছিলেন। নিশ্চয়ই আমেরিকার সরকারের সাথে কানেকশন আছে! বারাক ওবামাকে দিয়ে কিছু করাবেন নাকি? ২০০৫ এ বোধহয় জোট সরকারের উপর চাপ দিয়েছিলেন! কিন্তু শিক্ষামন্ত্রী দমিয়ে যাওয়ার পাত্র নয়। সে ডরের উপর ভর দিয়ে বলেন, 
-কি করার ক্ষমতা আছে আপনার?
ষাঁড় এবার আরো জোরে হুংকার ছেড়ে বলেন, 
-২০১০ সালে যা করছিলাম। তা'ই করবো!

মন্ত্রী সাহেব এবার সত্যি ভয় পেয়ে গেলেন। এই ব্যাটা তো আবার "র" এর এজেন্ট। যদি ইন্ডিয়াকে দিয়ে কিছু করায়! ২০১০ এ "র" দিয়ে নিশ্চয়ই দেশের ভেতরে কোন কুকর্ম করায় ছিল! বুঝছি, উনাকে রাগানো উচিত হবে না। তাই হাসি হাসি মুখ করে বলেন,
-প্লিজ স্যার, কিছু কইরেন না! আমি এর বিচার করবো
-ওকে, ধন্যবাদ।

ষাঁড় শান্ত হলে মন্ত্রী সাহেব আস্তে করে বলেন,
-যদি কিছু মনে না করেন। একটা প্রশ্ন করি, ২০০৫ ও ১০ সালে আপনি কী করছিলেন?
ষাঁড় ঝটপট উত্তর দিল,   
-কি আর করব। পদত্যাগ করছিলাম।

বি.দ্রঃ স্যার মুহাম্মদ জাফর ইকবাল এর আগেও কয়েকবার  পদত্যাগের ঘোষনা দিয়েছিলেন। এবার দিলেও দিতে পারেন।সেটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। 
তবে ষাঁড় থুক্কু স্যারের প্রতি আমার কিছু কথা। স্যার মনে কোন কষ্ট নিয়েন না। সব'ই আপনার দেখানো চেতনার ফসল। তিতা হোক বা ঝাল হোক সহ্য করতে হবে...!! 
তাই ষাঁড় আপনে মইরেন না। আপনার এখনো অনেক কিছুই দেখার বাকি আছে......... 

Comments

জনপ্রিয় ব্লগসমূহ

ইবলিশ শয়তান

প্রিপেইড মিটার বিড়ম্বনা

একটি চশমা ও কলমের গল্প

আলাদিনের দৈত্য

কাঙ্গালি ভোজ

মুরগী কবির

জন্মদিনের সারপ্রাইজ

এ তালা ভাঙবো কেমন করে

কাছে আসার গল্প

ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ