আর কি দেখার বাকি আছে?
সকালবেলা নাস্তা করার পর চায়ে চুমুক দিয়ে ফেসবুকে ঢুঁ মারছি। নিউজ ফিডে একটা ছবি দেখে চা ভিতরে না ঢুকে মুখ ফসকে বেরিয়ে গেলো। এটা দেখে বউ অবাক হয়ে বলল, 'কী ব্যাপার! বিষম খেলে নাকি?
আমি মুখ মুছতে মুছতে বললাম, 'নাহ, আক্কেলগুড়ুম হয়েছে।' একথা শুনে সে আরও অবাক হয়ে বলল, 'আক্কেলগুড়ুম! কিভাবে হলো?' বললাম, 'আক্কেল দাঁতের সাথে বারি খেয়ে চা ভিতরে না ঢুকে বেরিয়ে গেছে।'
'আজব কথা! আক্কেল দাঁতের সাথে চা বারি খায়! ক্যামনে?' তার এই প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে মোবাইলে ছবিটা দেখিয়ে বললাম, 'বঙ্গবন্ধুকে সারাজীবন ভাষন দিতে দেখেছো, আজ দেখ বঙ্গবন্ধু বসে শিক্ষামন্ত্রীর ভাষন শুনছে। হাততালি দিচ্ছে মাথায় স্কার্ট পড়ে। বে-আক্কেল কান্ডকারখানা দেখে আক্কেলগুড়ুম হয়ে চা বেরিয়ে গেছে, এজন্য শুকরিয়া আদায় করো। ভাগ্যিস, আলজিভের সাথে লটকে থাকে নাই। তাহলে বিপদে পড়ে যেতাম।'
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে যেসব কর্মকাণ্ড হচ্ছে, তা রীতিমতো উদ্বেগজনক।
হাজারো বঙ্গবন্ধুর মুখোশ ছাত্রীদের মুখে লাগিয়ে যারা এমন কান্ডটা ঘটালো। তারা বলদ ছাড়া আর কিছুনা। এই বলদগুলোর জানা উচিত ছিল। বঙ্গবন্ধুকে বুকে ধারন করতে হয়, মুখে না। দিন শেষে সেই মুখোশগুলো পড়ে ছিলো পথের ধুলায়।
হাজারো বঙ্গবন্ধুর মুখোশ ছাত্রীদের মুখে লাগিয়ে যারা এমন কান্ডটা ঘটালো। তারা বলদ ছাড়া আর কিছুনা। এই বলদগুলোর জানা উচিত ছিল। বঙ্গবন্ধুকে বুকে ধারন করতে হয়, মুখে না। দিন শেষে সেই মুখোশগুলো পড়ে ছিলো পথের ধুলায়।
স্বাধীনতার পর থেকে এদেশে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে তেলবাজি বা তোষামোদি। এই তেলবাজি বা তোষামোদির কারণে দেশটা আজ বলদ উৎপাদনের কারখানায় পরিণত হয়েছে। তার নমুনা সর্বত্রই আমরা দেখতে পাই।
অত্যাধিক তেলবাজি আর হাত কচলানিতে নির্বাচন কমিশনারের নিজের আঙুলের ছাপ উধাও হয়ে গেছে। সেটাও গত নির্বাচনে ইভিএমে আমরা দেখেছি।
বঙ্গবন্ধুর প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে প্লেন থেকে বঙ্গবন্ধুর লেজার রশ্মির প্রতিচ্ছবিকে যেভাবে নামিয়ে মাটিতে ফুল ছিটানো হলো। এটা যদি স্বয়ং বঙ্গবন্ধু দেখতো তাহলে নিশ্চয়ই উনি প্লেন থেকে না নেমে প্লেনের চালককে বলতেন, 'ভাই, আপনি নামেন। আর স্ট্রিয়ারিং টা আমার হাতে দিন। আমি আকাশে উড়ে আত্মহত্যা করবো।'
বঙ্গবন্ধুকে জোর করিয়ে পাবলিকের বুকে-পিঠে ধারন করানোর কুফল হিসাবে আজ বঙ্গবন্ধু পাবলিকের বাজারের ব্যাগে পরিণত হয়েছে। প্রশাসনের পাছার নিচে চেপ্টা হচ্ছে।
প্রতিটা জায়গায়, প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমরা দেখতে পাচ্ছি, বঙ্গবন্ধুর ছবি আর ছবি। এখন যদি অতি তেল মারার খেসারত স্বরূপ; বঙ্গবন্ধুর ছবি বসুন্ধরা টয়লেট টিস্যুতে দিয়ে বসে! তাহলে জন্মশতবার্ষিকীর শতকলা পূর্ন হয়ে যাবে!!
Comments
Post a Comment
আপনার মূল্যবান মতামত দিন