মুরগীযোদ্ধা
বিশিষ্ট মুরগীযোদ্ধা, ঘাতক দালান নির্মুল কমিটির সভাপতি যদিও তিনিই সবচেয়ে বড় দালাল, পাকবাহিনীর মুরগী সাপ্লায়ার ও সেকুলার (নাস্তিক) শাহরিয়ার কবীর বলেন,
'অ তে অযু করে পাক হও
আযান শুনে নামাজে যাও
ইসলাম চাই শান্তি
ঈমান বাড়াই শক্তি
কোরআন পড় দিনেরাতে
খোদার রহমত পাবে তাতে।'
ইসলাম চাই শান্তি
ঈমান বাড়াই শক্তি
কোরআন পড় দিনেরাতে
খোদার রহমত পাবে তাতে।'
বাচ্চারা এসব কি পড়ছে; এসব পড়ে বাচ্চারা বড় হয়ে হলি আর্টিজেনের মত ঘটনা ঘটায়। তিনি একটি ইংলিশ মিডিয়ামে বাচ্চাদের বর্ণ শিক্ষা দেওয়া নিয়ে বেশ উদ্বেগ প্রকাশ করে এসব কথাবার্তা বলেন।
এই সেকুলাঙ্গার মুরগী কবীরের কক-কক-ককালাপ শুনে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, নতুন প্রজম্মকে ইসলামবিদ্বেষী করে ও ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে কথা বলে নিজের ফায়দা লুটা ছাড়া আর কিছুই না। যেমন ফায়দা লুটে মুক্তিযুদ্ধের সময় তারপর মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী এই সময়।
এই ধর্মবিদ্বেষী বিনা ভোটের সরকারের সবচেয়ে বড় সাফল্য তাদের চেতনার মেশিন আবিস্কার। যে চেতনার মেশিনে কোন রাজাকার ঢুকলে মুক্তিযোদ্ধা হয়ে বের হয়। আর সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধারা এই চেতনার মেশিন থেকে বের হয়ে গেলে রাজাকার হয়ে যায়।
শাহরিয়ার কবীর নিজের অপকর্ম ঢাকতে এই চেতনার মেশিনে ঢুকে, আজ তিনি বিরাট বড় চেতনাবাজ, মুক্তিযোদ্ধা থুক্কু মুরগীযোদ্ধা। অথচ ১৯৭১ সালে যুদ্ধের সময় যখন মুক্তিযোদ্ধারা পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরেছিলেন। তখন তিনি কি ধরেছিলেন, শুনবেন? সেটা হলো, পাকবাহিনীর জন্য মুরগী। যুদ্ধের সময় পাকবাহিনীকে মুরগী সাপ্লাই দেওয়ায় ছিল যার ব্যবসা। সে আজ ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটির গঠন করে হয়ে গেছে বিরাট মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিদ। সেলুকাস!
একটি প্রচলিত কৌতুক দিয়ে তার চেতনার পরিসমাপ্তি টানবো।একবার মুরগী কবীর বাজারে গেছে মুরগী কিনতে।
সে মুরগীওয়ালাকে জিগ্যেস করল,
-তোমার কাছে রাজশাহীর মুরগী আছে?
মুরগীওয়ালা মুরগীর খাঁচি থেকে খুঁজে রাজশাহীর মুরগী করে সামনে ধরে বলল,
-এই লন খাঁটি রাজশাহীর মুরগী
তিনি মুরগীর লেজ উঁচিয়ে পাছা দেখে বলল,
-ওই মিয়া, তুমি আমারে বোকা পাইছো, এটা ত চিটাগাংগের মুরগী!
মুরগীওয়ালা খাঁচি থেকে আরেকটি মুরগী দেখিয়ে বলল,
-ঈমানে কইতাছি, এইঠা রাজশাহীর মুরগী
তিনি আবারও মুরগীর পাছা দেখে বলল,
-ধুর মিয়া, নোয়াখাইল্যা মুরগী দিলা। তুমি কি বাংলা বুঝো না?
মুরগীওয়ালা আবারও আরেকটি মুরগী দেখিয়ে বলল,
-সাব মায়রে বাপ, এইঠা রাজশাহীর মুরগী
তিনি আগের মতই মুরগীর পাছা উচিয়ে বলল,
-এটা ত বরিশাইল্যা মুরগী! ওই মিয়া মুরগী ব্যবসা করো আর মুরগী চিনো না? তোমার বাড়ি কই?
মুরগীওয়ালা রেগেমেগে এবার নিজের পাছার লুঙ্গি উঁচিয়ে দেখিয়ে বলল,
-আপনেই খুঁইজা লন, আমার বাড়ি কই??
Comments
Post a Comment
আপনার মূল্যবান মতামত দিন