আহারে বাঙালি
স্বাধীনতার পূর্বে বাঙালীকে শাসন ও শোষণ করা হত পশ্চিম পাকিস্তানের স্বার্থে আর বর্তমানে বাঙালীকে শাসন ও শোষণ করা হচ্ছে ব্যক্তিস্বার্থে মানে ক্ষমতায় টিকে থাকার স্বার্থে।।
সরকার বুঝছে, গন-প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার উৎস এখন আর জনগণ নয়, প্রশাসন। মানে সরকারি আমলা ও কামলা (কর্মকর্তা ও কর্মচারি)। যদি খুশি করতে হয় তাদেরকেই করতে হবে।
সরকার ভালো করে জানে, এই বাংলার জনগন কখনো তাদের ভোট দিবে না আবার ক্ষমতাচূর্ত করতেও পারবে না। কারন জনগণের সকল ক্ষমতার উৎস 'গণতন্ত্র' বন্দুকের নলের মুখে অবরুদ্ধ। আন্দোলন করবি তো গুলি খেয়ে মরবি। এখন সরকারকে ক্ষমতাচূর্ত করা প্রশাসন ছাড়া কারো পক্ষে সম্ভব নয়। তাই সরকার প্রশাসনকে খুশি করতে তাদের বেতন বাড়িয়ে দ্বিগুণ করেছে। অন্যদিকে জনগণের উপর সেই খরচের বোঝা চাপিয়ে দিয়েছে। মানে অতিরিক্ত কর আরোপ, ভ্যাট, বিদ্যুৎ, গ্যাস বিল বাড়িয়ে দ্বিগুণ করেছে। জনগণ মরে মরুক তাতে কিছু যায় আসে না সরকারের। সরকার তো আর জনগণের ভোটে গঠিত হয়নি।
ভাবুন, সরকার যদি জনগণের দ্বারা নির্বাচিত হত, তাহলে কি তারা উচ্চ হারে ট্যাক্স, ভ্যাট চাপিয়ে দিতে পারত? বিদ্যুৎ ও গ্যাস বিল বাড়িয়ে দ্বিগুণ করতে পারত? কখনোই পারত না। তখন জনগণের হাতে ক্ষমতা থাকত। উল্টা-পাল্টা কিছু করবা তো নির্বাচনের সময় একহাত দেখে নেবো। এই ভয়ে, সরকারও জনগণের কাছে দ্বায়বদ্ধ থাকত।
মোটকথা, বর্তমানে সরকার যেহেতু প্রশাসনের শক্তির উপর রক্ষিত, জনগণের দ্বারা নির্বাচিত নয়। সুতরাং জনগণকে অসন্তুষ্ট করে খরচের বোঝা বাড়িয়ে দিয়েছে আর প্রশাসনকে খুশি করে বেতন দ্বিগুণ করেছে। সেইসাথে নিজেদের ক্ষমতাও চিরস্থায়ীকরণ করেছে। জনগনের পোদে বাঁশ, হাতে হারিকেন।
ব্রিটিশ আমল থেকে শোষিত'ই রয়ে গেলি
আহারে বাঙালি.......
Comments
Post a Comment
আপনার মূল্যবান মতামত দিন