শেইম ছিঃ ইসি...
রাস্তার মধ্যে অদ্ভুত একটা দৃশ্য দেখতে পেলাম। একজন লোক রাস্তার মাঝখানে গর্ত খুঁড়ছেন। আরেকজন লোক সেই গর্তে মাটি ফেলে ভরাট করছেন।
ঘটনাটা কী? বুঝার জন্য এগিয়ে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম,
-এইযে, আপনারা এই সব কী করছেন?
আমার এই কথা শুনে একজন উত্তর দিলো,
-আমরা সিটি কর্পোরেশনের লোক, বৃক্ষ রোপন করছি।
-বৃক্ষরোপণ! তো গাছ কোথায়?
-যিনি গাছ লাগান, উনি আসেন নাই
-তাহলে খুঁড়ছেন, ভরছেনই বা কেন?
-কাছের ধারাবাহিকতা বজায় রাখছি...
-কিন্তু এটা তো বৃথা শ্রম। শুধুশুধু জায়গা নষ্ট, টাকা অপচয়।
-ভাইজান, আমরা এতকিছু জানিনা। সিটি কর্পোরেশনের নির্দেশ, যে যার দায়িত্ব পালন করতে হবে। আমার দায়িত্ব খোঁড়ার। ওর দায়িত্ব ভরাট করার। গর্তে যার গাছ লাগানোর কথা তিনি আসে নাই বলে আমরা তো আর বসে থাকতে পারি না।
আমি ভেবে দেখলাম ঠিকই তো বলছেন। কাজের ধারাবাহিকতা বজায় রাখাটা খুবই জরুরী। হোক সেটা বৃথা শ্রম, অপচয় বা অন্যায়। আমি হাঁটা দিলাম। যথারীতি লোকটি মাটি খুঁড়তে শুরু করলো আর আরেকজন লোক সেটা ভরাট করতে লাগলো।
গল্পটি রূপক। আমি ইলেকশন কমিশনের সাথে গল্পটি মেলানোর চেষ্টা করেছি মাত্র। ইলেকশন কমিশন সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা বজায় রাখতেই নির্বাচন করেছেন। যেখানে লেবেল প্লেয়িং ছিল প্রশ্নবিব্ধ। বিরোধী দলকে মাঠে দাঁড়াতেই দেওয়া হয়নি। জনগনকে ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের একপেশে নির্বাচনে বিরোধী দলের অনুপস্থিতিতে সরকারি দল ব্যালট ভরেছেন। তারা তো আর বসে থাকতে পারেনা। নির্বাচন হয়েছে, সরকার গঠনও হয়েছে। কিন্তু ফলাফল?
সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা বজায় রাখতেই ইলেকশন কমিশন গর্ত খোঁড়া আর ভরাট করার মতোই নির্বাচন করলেন। যেখানে সবুজে সমারোহের বৃক্ষটি অনুপস্থিত। বড়ই অদ্ভুত ব্যাপার। লজ্জিত বাংলাদেশ। শেইম ছিঃ ইসি...
Comments
Post a Comment
আপনার মূল্যবান মতামত দিন