নুরা পাগলার হিসাব
নুরা পাগলা বসে মাথা চুলকাচ্ছে। দেখে বললাম,
-কিরে মাথা চুলকাচ্ছিস ক্যান?
বলল,
-মাথা চুল্কাচ্ছি না। হিসাব মেলাচ্ছি...
-কিসের হিসেব?
-দুই কোটি টাকার হিসাব
-দুকোটি টাকা! এটা কোন টাকা নাকি! শুনিস নাই, অর্থমন্ত্রী আবুল মালের কথা।
-কি কতা?
-চার'শ কোটি টাকা লুটপাট হলো। উনি বললেন, চার'শ কোটি টাকা কোন টাকায় না। সেখানে তুই দুকোটি নিয়ে ভাবছিস?
নুরা পাগলা উদাস মনে বলল,
-গুরু, ভাবি কি সাধে? দুই কোটি টাকার মামলায় যদি মায়ের ৫ বছর আর ছেলে ১০ বছরের জেল হয়। তাহলে বর্তমানে, বাংলাদেশ ব্যাংকের ৫ হাজার কোটি টাকা চুরির মামলায় মা ও ছেলের কয় বছরের জেল হবে?
আমি টাস্কি খেয়ে বললাম,
-ওরে বাব্বা! এটার হিসাব করতে তো ক্যালকুলেটর লাগবো
-তাহলে যাই, ক্যালকুলেটর চেয়ে আনি।
-তোর কি মাথা খারাপ? ঘটনা শুনিস নাই, ছাত্রলীগের কাছে ক্যালকুলেটর চাওয়ায় এক ছাত্র চোঁখ খুঁয়েছিল।
-কি বলেন! তাইলে হিসাব ক্যাম্নে করুম?
-দাঁড়িপাল্লা নিয়ে আয়
-দাঁড়িপাল্লা! কি করবেন?
-কেজিতে হিসাব করবো
-কিভাবে?
-বলছি, আগে আন। সাথে আরো কিছু হিসাব যোগ করবি
-কি বলেন গুরু?
-রানা প্লাজার শ্রমিকদের জন্য অনুদান আসা ১১৭ কোটি টাকার মধ্যে ১০০ কোটি টাকা, শেয়ার বাজারের ৩৬০০ কোটি টাকা, বিদেশে পাচার হওয়া ৮০০০ কোটি টাকা।
-গুরু, থামেন, থামেন। মগজে আর ধরছে না...
-ঠিক আছে, হলমার্ক, পদ্মাসেতু, ব্যাংক হরিলুটের কথা বাদ দিলাম
-গুরু, এত্তো ট্যাকা কিভাবে মাপবেন?
-আরে শুনিস নাই, ১/১১ সময় শেখ সেলিমের কথা?
-কি কতা?
-পাঁচ'শ টাকার বান্ডিলগুলো গুনতে নয় মাপতে দেখেছেন
-কাকে?
-ওরে, তার নাম বললে আমার চাকরি থাকবো কিন্তু আমি থাকবো না
-থাক তাইলে, শুনুম না। শুধু মাপটা বলেন
-শোন, ১ কেজির ৫'শ টাকার বান্ডিল সমান ২৭ লাখ টাকা মাপতে দেখে ছিলেন।
-বলেন কি?
-হুম, এবার হিসাব ধর
-গুরু, আমার হিসেবের দরকার নাই। একটু ঠান্ডা পানি দেন
-খাবি?
-নাহ, মাথায় দিবো...
আমি ঠান্ডা পানি দিলাম। নুরা পাগলা মাথায় ঢেলে তারপর উদাস মনে উঠে দাঁড়ালো। এরপর ছেঁড়া ঝোলা থেকে চেয়ে আনা চাল বের করে চিবুতে চিবুতে হাঁটা দিলো গান ধরে...
"আমার দেশের হলমার্ক, রিজার্ভ চুরি,,,
শেয়ার বাজার কেলেঙ্কারি...
আমি কি ভুলিতে পারি...
আঁ..আঁ..আঁ..ওঁ..ওঁ..ওঁ...
-কিরে মাথা চুলকাচ্ছিস ক্যান?
বলল,
-মাথা চুল্কাচ্ছি না। হিসাব মেলাচ্ছি...
-কিসের হিসেব?
-দুই কোটি টাকার হিসাব
-দুকোটি টাকা! এটা কোন টাকা নাকি! শুনিস নাই, অর্থমন্ত্রী আবুল মালের কথা।
-কি কতা?
-চার'শ কোটি টাকা লুটপাট হলো। উনি বললেন, চার'শ কোটি টাকা কোন টাকায় না। সেখানে তুই দুকোটি নিয়ে ভাবছিস?
নুরা পাগলা উদাস মনে বলল,
-গুরু, ভাবি কি সাধে? দুই কোটি টাকার মামলায় যদি মায়ের ৫ বছর আর ছেলে ১০ বছরের জেল হয়। তাহলে বর্তমানে, বাংলাদেশ ব্যাংকের ৫ হাজার কোটি টাকা চুরির মামলায় মা ও ছেলের কয় বছরের জেল হবে?
আমি টাস্কি খেয়ে বললাম,
-ওরে বাব্বা! এটার হিসাব করতে তো ক্যালকুলেটর লাগবো
-তাহলে যাই, ক্যালকুলেটর চেয়ে আনি।
-তোর কি মাথা খারাপ? ঘটনা শুনিস নাই, ছাত্রলীগের কাছে ক্যালকুলেটর চাওয়ায় এক ছাত্র চোঁখ খুঁয়েছিল।
-কি বলেন! তাইলে হিসাব ক্যাম্নে করুম?
-দাঁড়িপাল্লা নিয়ে আয়
-দাঁড়িপাল্লা! কি করবেন?
-কেজিতে হিসাব করবো
-কিভাবে?
-বলছি, আগে আন। সাথে আরো কিছু হিসাব যোগ করবি
-কি বলেন গুরু?
-রানা প্লাজার শ্রমিকদের জন্য অনুদান আসা ১১৭ কোটি টাকার মধ্যে ১০০ কোটি টাকা, শেয়ার বাজারের ৩৬০০ কোটি টাকা, বিদেশে পাচার হওয়া ৮০০০ কোটি টাকা।
-গুরু, থামেন, থামেন। মগজে আর ধরছে না...
-ঠিক আছে, হলমার্ক, পদ্মাসেতু, ব্যাংক হরিলুটের কথা বাদ দিলাম
-গুরু, এত্তো ট্যাকা কিভাবে মাপবেন?
-আরে শুনিস নাই, ১/১১ সময় শেখ সেলিমের কথা?
-কি কতা?
-পাঁচ'শ টাকার বান্ডিলগুলো গুনতে নয় মাপতে দেখেছেন
-কাকে?
-ওরে, তার নাম বললে আমার চাকরি থাকবো কিন্তু আমি থাকবো না
-থাক তাইলে, শুনুম না। শুধু মাপটা বলেন
-শোন, ১ কেজির ৫'শ টাকার বান্ডিল সমান ২৭ লাখ টাকা মাপতে দেখে ছিলেন।
-বলেন কি?
-হুম, এবার হিসাব ধর
-গুরু, আমার হিসেবের দরকার নাই। একটু ঠান্ডা পানি দেন
-খাবি?
-নাহ, মাথায় দিবো...
আমি ঠান্ডা পানি দিলাম। নুরা পাগলা মাথায় ঢেলে তারপর উদাস মনে উঠে দাঁড়ালো। এরপর ছেঁড়া ঝোলা থেকে চেয়ে আনা চাল বের করে চিবুতে চিবুতে হাঁটা দিলো গান ধরে...
"আমার দেশের হলমার্ক, রিজার্ভ চুরি,,,
শেয়ার বাজার কেলেঙ্কারি...
আমি কি ভুলিতে পারি...
আঁ..আঁ..আঁ..ওঁ..ওঁ..ওঁ...
Carry on
ReplyDelete