কালা বন্দুক
হঠাৎ রাস্তায় নুরা পাগলার সাথে দেখা হয়ে গেলো। নুরা পাগলার ফুরফুরে মেজাজ দেখে জিজ্ঞেস করলাম,
-: হ্যারে নুরা, তুই কিস্তিতে যে বন্দুক কিনেছিলি...
একথা শুনে বুকের সিনা টান করে নুরা পাগলা বলল,
একথা শুনে বুকের সিনা টান করে নুরা পাগলা বলল,
-: হ' কালা বন্দুক কিনচিলাম
-: কিস্তি পরিশোধ করেছিস?
-: শোধ করে আরেকটা বন্দুকের অর্ডার দিছি
-: বলিস কী! ছিনতাই-চাঁদাবাজি ভালোই করেছিস তাহলে?
-: কী কচ্ছেন! আপনি মানা করবার পর আর করি নাই
-: তাহলে! কিস্তি পরিশোধ করেছিস কিভাবে?
-: গুরু, বাড়িতে একটা লাল মোরগ আছিল না?
-: দেখে ছিলাম হয়ত
-: সেই মোরগের ডিম বেচে...
-: মোরগও ডিম পাড়ে?
-: হ্যাঁ, দিনে দুটা করে ডিম পাড়ে
-: কিভাবে সম্ভব?
-: সবই কালা বন্দুকের খেল
-: বলিস কি?
-: মোরগের পাছায় বন্দুক ঠেকায়ে বলি, হয় জান দিবি না হয় ডিম দিবি। গুরু, জানের ভয়ে মোরগ প্রতিদিন দুটি করে ডিম দেই।
টক অফ দ্যা টপিক:
আজ আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি কালা বন্দুকের দৌরাত্ম্যে কুন্ঠিত। এখানে আইন, শাসন ও বিচার ব্যাবস্থা চলে গেছে কালা বন্দুকধারীর হাতে। যেখানে নীতি নৈতিকতার কোন বালাই নেই। তিনি একচ্ছত্র আধিপত্যে কল-কাঠি যেভাবেই নাড়ছেন সেভাবেই চলছে। কারো টুশব্দটিও করার সাধ্য নাই। যেটা গনতন্ত্রের খোলসে এক স্বৈরাচারীর অগ্নিমূর্তি।
যা কিছু অন্যায়, অনাচার, অবিচার ও অনিয়ম তার জন্য ইসি, পুলিশ, বিএসএফ ও বিচারপতি কেউ দায়ী নয়। সবকিছুর জন্যই দায়ী কালা বন্দুকধারী নাটেরগুরু। সেই নাটেরগুরুর অবাধ্য হওয়া মানেই, ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে পরদেশী হওয়া না হয় পরোপারে চলে যাওয়া।।
Good
ReplyDelete