Posts

Showing posts from 2020

ডিজিটাল বিড়ম্বনা

Image
ডিজিটাল বিড়ম্বনা ছোটবেলায় দেখেছি, আমাদের একটা গাভিন গরু ছিল। গরুর বাচ্চা প্রসবের সময় ঘনিয়ে এলে আব্বা টেনশনে রাতে ঘুমাতে পারতো না। কখন জানি, গরু বাচ্চা প্রসব করে ফেলে। তাই মাঝরাতে ঘুম ভেঙে বারেবার উঠে টার্চলাইট জ্বালিয়ে গোয়াল ঘর দেখতো।  এখন আমার অবস্থা ঠিক তেমনই, প্রতিমাসের শেষের দিকে টেনশনে থাকি। কখন জানি, বিদ্যুৎ শেষ হয়ে যায়। তাই বারবার বাসার সিঁড়ি ঘরের নিচে গিয়ে আলো জ্বালিয়ে বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটার চেক করি।  আমার কাছে আগের সিস্টেমই ভালো ছিল। ভূতুড়ে বিল আসুক আর যে বিল'ই আসুক, মাস শেষে প্যারাটা একবার'ই পেতাম। এখন প্যারা সারা মাস জুড়ে। কারেন্ট আগে রিচার্জ করে, পরে খরচ করি। তারপরও যখন ফুড়ুৎ করে চলে যায়, বুকের ভিতর ঢক করে উঠে। এই বুঝি আমার ব্যালেন্স শেষ! তখন বাহিরে এসে খোঁজ খবর নিই। কারেন্ট শুধু আমারটা গেছে নাকি সবারটা গেছে। যদি দেখি, সবারটা গেছে তাহলে স্বস্তি পায়। আর যদি দেখি, সবারটা আছে তাহলেই বিপদ। আবার রিচার্জ করার জন্য দৌড়াতে হবে। এবার আমার প্রিপেইড গ্যাস মিটারের কথা বলি। আজব মিটার! গ্যাস জ্বালাইলে ঘোরে, না জ্বালাইলেও ঘোরে। তার সবচেয়ে বড় সমস্যা, টাকা রিচার্জ করলে গ্যাস সরা...

বাবা দ্যা রিয়েল হিরো

Image
 বাবা দ্যা রিয়েল হিরো বাবা-মায়ের মুখ উজ্জ্বল করার মত আমার কোন যোগ্যতা বা কৃতিত্ব নাই। তবে একবার বাবার মুখের একটা কথা শুনে আমার জন্মটা সার্থক হয়েছে। এই কথাটি আজও আমাকে অনুপ্রাণিত করে। একদিন বাসে চড়ে বাবাকে নিয়ে ঢাকায় আসছিলাম। বাবার কানের সমস্যা ডাক্তার দেখাবো। বাসটি সাঁথিয়া উপজেলা অতিক্রম করার সময়, বাসের ভিতর কান্নার আওয়াজ শুনতে পায়। আমি আর বাবা বাসের পিছনের সিটে বসেছিলাম। বাসের সামনে ড্রাইভারের ঠিক পিছনের সিটে বসে এক মহিলা হাউমাউ করে কাঁদছে। কয়েকজন যাত্রী উঠে দাঁড়িয়ে তা দেখছে। কেউকেউ আবার সান্ত্বনা দিচ্ছে। আমি উঠে গিয়ে দেখি, মধ্যবয়সী মহিলা তার স্বামীকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছে। ভদ্রলোকটির অবস্থা খুবই সংকটাপন্ন। ঢাকা ল্যাবএইডে ডাক্তার দেখানোর জন্য যাচ্ছিলেন। কিন্তু পথিমধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। আমি দ্রুত ড্রাইভারকে বাস থামাতে বললাম। ড্রাইভার বাস থামায়।  আমি উনাকে পাঁজর কোলে করে বাস থেকে নেমে সাঁথিয়া বাজারের দিকে ছুটলাম। একটা ওষুধ ফার্মাসিতে গিয়ে উনার পেসার মাপায়। উনার পেসার খুবই কম ছিল। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলে। আমি হাসপাতালের ঠিকানা চাইতেই বলল, এই সামনে কিছুটা পথ গেলে হাসপাতাল। আমি...

সেদিনও বৃষ্টি ছিল

Image
সেদিনও বৃষ্টি ছিল অফিসে যাওয়ার জন্য বের হয়েছি। হঠাৎ ঝুম বৃষ্টি পড়া শুরু করে। বাসায় ফিরে এসে ছাতা নিলাম, কিন্তু বৃষ্টির ফোঁটা এতো বড়বড় যে ছাতা মানবে না। তাই বাসার নিচে গ্যারেজে অপেক্ষা করছি, বৃষ্টি কমলে বের হবো। সে মুহুর্তে বাড়িওয়ালার ডাইভারের সাথে কথা বলছি। উনি কথার একফাঁকে বলেন, 'আপনার গ্রামের বাড়ি কি সিরাজগঞ্জে?' উত্তরে বললাম 'না, বৃহত্তর পাবনা জেলায়। তবে সিরাজগঞ্জ একসময় পাবনা জেলার মধ্যেই ছিল।' উনি রাজনৈতিক প্রসঙ্গ টেনে এনে বলেন, 'মোহাম্মদ নাসিমের অবস্থা তো ভালো না। মনে হয়, বাঁচবো না।'  বললাম, 'আল্লাহপাক সকল কিছুর ফয়সালা দানকারী। খবরে শুনতেছি তাঁর অবস্থা সংকটাপন্ন।' উনি আশেপাশে তাকিয়ে বলেন, 'সুস্থ-মস্তিষ্কের কোন রাষ্ট্র ও নিয়ম-নীতিসম্পন্ন দেশ হলে এই নাসিম এবং তার পরিবারের ও কাছের লোকজনের মৃত্যুদণ্ড কেউ ঠেকাতে পারতো না।' একথা শুনে আমি অবাক দৃষ্টিতে তাকালাম। উনি আমার সেই দৃষ্টিতে ভ্রুক্ষেপ না করে আবারও বলেন, 'এই গলির মোড়ে নতুন দশতলা বিল্ডিং দেখছেন। ওটা সিরাজগঞ্জের বাবু ভাইয়ের বাড়ি। মোঃ নাসিম মন্ত্রী থাকাকালীন তাকে (রাজউক না রাজস্ব, সেটা আমি ...

একটি দূর্ঘটনা

Image
বিপদ আমার পিছু ছাড়ছেই না। একটা বিপদ কেটে উঠতে না উঠতেই আরেকটা বিপদ ঘাড়ের ওপর গরম নিঃশ্বাস ফেলছে। জানিনা আমার ভাগ্যে কি লেখা আছে? কেন এমন নিষ্ঠুর খেলা খেলছে বিধাতা? পাবনা থেকে লিচু ও আম কুরিয়ার করেছে। বিকেল ৫টায় এসএ পরিবহণ থেকে ফোন করে জানিয়ে দিলো, 'আপনার একটা পার্সেল এসেছে।' আমি বললাম, 'আপনাদের অফিস খোলা কয়টা পর্যন্ত?' বলল, 'রাত দশটা পর্যন্ত।' ঠিক আছে রাত সাড়ে ন'টার দিকে আসছি বলে ফোন রেখে দিলাম। রাত ন'টায় অফিস থেকে বের হয়ে একটা রিক্সা নিলাম। ইঞ্জিন চালিত অটো রিক্সা ঢাকার শহরে চলাচল নিষিদ্ধ কিন্তু এই লকডাউনে বাস চলাচল না থাকায় প্রচুর এই রিক্সার দৌরাত্ম্য বেড়েছে। ব্যাটারি চালিত এই রিক্সাগুলো ঢাকার প্রতিটি রাস্তায় এখন দাপিয়ে চলছে। পঙখিরাজের মত উড়ে অল্প সময়ে মধ্যে নিদিষ্ট  গন্তব্যে পৌঁছে দিচ্ছে।  মিরপুর-১০ এ অবস্থিত এসএ পরিবহন থেকে আমার পার্সেলটি বাসায় পৌঁছে দেওয়া পর্যন্ত এ রিক্সাটি রিজার্ভ করি। রিক্সা চালকের বয়স বেশি না। সম্ভবতঃ বাসের হেল্পার অথবা লেগুনার ডাইভার হবে। লকডাউনে বাস-লেগুনা না চলায় অটোরিক্সা ধরেছে। ফাঁকা রাস্তায় রিক্সা সেইমতন গতিতে চালাচ্ছে। আমি...

সীমিত আকারে ঘুরাঘুরি

Image
ঈদের এই ক'দিন বাসায় শুয়ে-বসে খেয়ে ভুড়ি দুএক ইঞ্চি বেড়ে গেছে। বউরে কইলাম, 'বাহিরে হেঁটে ভুড়ি কিছুটা কমিয়ে আসি।' বউয়ের সাফ কথা, 'ভুড়ি বাড়ুক সমস্যা নাই, তবু বাহিরে যেতে পারবেনা।' অবশেষে বুঝিয়ে-সুঝিয়ে গলির ভিতর'ই হাঁটার শর্তসাপেক্ষে বের হলাম। কিন্তু আমি বের হয়েই একদিকে হাঁটা দিলাম, যে রাস্তাটি সংসদ ভবনের দিকে গেছে। রাস্তায় হাঁটছি দেখে কম পক্ষে ছত্রিশ জন রিক্সা-সিএনজি ওয়ালারা বলছে, 'মামা যাবেন, মামা কই যাবেন?' কেউকেউ তো গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার জন্য জোড়াজুড়িও করেছে। কেউ বলেছে, 'মামা ভাড়া লাগবো না, এমনই চলেন।'  আহা এতো সমাদর, সত্যিই অবাক হওয়ার মতো! অথচ অফিসে যাওয়ার সময় এই রিক্সাগুলো কই থাকে জানিনা? তখন কত তেল জল এদেরকে ঢালতে হয়। তারপরও উত্তর দিবো, 'নাহ যামুনা৷' যদি বলি, 'চলেন না ভাই, ভাড়া বাড়িয়ে দিবো।' উত্তরে বলবে, 'এত কতা ক'ন ক্যা? বলছিনা, যামুনা।' যাইহোক, রিক্সা-সিএনজিওয়ালা যেন বুঝে আমি শরীর ঠিক রাখতে হাঁটছি। সেইভাবে জগিং করে হাঁটতে শুরু করলাম। হাঁটতে হাঁটতে চীন-মৈত্রী আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের সামনে আসলাম। দুঃখিত, চীন-মৈ...

ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ

Image
আমার অসুস্থতার স্ট্যাটাস দেখে অনেকেই আমাকে ফোন দিয়েছে, খোঁজখবর নিয়েছে। কেউকেউ সাহায্যের হাত বাড়াতে চেয়েছে কিন্তু আমি বলেছি প্রয়োজন নাই। শুকুর গুজার আল্লাহপাকের আমাকে যথেষ্ট দিয়েছে। অনেকে আবার জানতে চেয়েছিল, আমার করোনা হয়েছে কিনা? আমি উত্তর দিতে পারিনি, যদিও আমি ভিষণ অসুস্থ ছিলাম। এটা করোনা কিনা সন্দিহান, আবার হলেও হতে পারে? আমাকে ডাক্তার কোভিড-১৯ এডভাইস করেছিল। আইইডিসিআরে গিয়ে টেস্টটি করতে বলেছিল। মনে ধুকধুকি দুর করার জন্য আমিও আগ্রহী ছিলাম। কিন্তু টেস্ট করতে পারিনি। বিভিন্ন জায়গায় যোগাযোগ করেছি, লাভ হয়নি। বাসায় এসে নমুনা সংগ্রহ বন্ধ হয়ে গেছে, আইইডিসিআরেও নমুনা সংগ্রহ বন্ধ, শিশু হাসপাতাল নমুনা সংগ্রহ করেনা, এসএসএইচ শুধুমাত্র সরকারি ডাক্তার-নার্সদের জন্য। পিজি আর ঢাকা মেডিকেলে হচ্ছে, সেখানে টেস্ট করতে হলে সেহেরি খেয়ে লাইন ধরতে হবে তবেই সম্ভব। প্রাইভেট হাসপাতালে এখনো অনুমোদন দেয়নি তাই আর করা হয়নি। কর্মক্ষেত্রে খুব কাছের একজন মানুষের করোনায় মৃত্যুতে আমি মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিলাম। বোধকরি, এটাই আমার অসুস্থতার অন্যতম কারণ। আমার জ্বর-সর্দি ছিলনা, শুধু খুসখুসে কাশি ছিল, বুকে চাপচাপ অনুভূতি হচ্...

করোনায় ডাক্তারের মৃত্যু

Image
আপনাকে নিয়ে এভাবে লিখবো! তা কখনো ভাবিনি। আপনাকে নিয়ে যখন লিখছি, তখন আমিও যুদ্ধাহত সৈনিকের মত কোঁকড়াচ্ছি। মরনঘাতি এই করোনাযুদ্ধে আপনি দ্বিতীয় শাহাদাত বরণকারী ডাক্তার। আপনি অসম্ভব একজন কাজ পাগল মানুষ ছিলেন। এই যুদ্ধে বীরের মত লড়েছেন, এক ল্যাবরেটরি থেকে ছুটে আরেক ল্যাবরেটরিতে গেছেন। অনেক ডাক্তারই যখন নিজেকে গুটিয়ে ঘরবন্ধী হয়ে আছেন, তখন আপনি নিজের জীবনের তোয়াক্কা না করে  ছুটে বেরিয়েছেন, স্বাস্থ্যসেবা দিয়েছেন। মহান আল্লাহপাক আপনাকে জান্নাতবাসী করুক। স্যার, আপনাকে খুব মিস করছি। আপনার সাথে আমার কর্মজীবনের প্রায়ই একযুগের সম্পর্ক ছিল। আমার সৌভাগ্য বাংলাদেশের নাম্বার ওয়ান একজন হেমাটোলজিস্টের (রক্তরোগ বিশেষজ্ঞ) সাথে আমি কাজ করতে পেরেছি। আমার মত একজন নন-মেডিকেল পার্সনকে আপনি হাতে ধরে মেডিকেল বোদ্ধা বানিয়েছেন। আপনার সাথে কাজ করে আমি অনেক কিছু শিখেছি, রক্তরোগের খুঁটিনাটি অনেক কিছু জানতে পেরেছি। এখন Complete Blood Count সংক্ষেপে CBC রিপোর্ট দেখে আমি বলে দিতে পারি, রুগীর শরীরের কী কন্ডিশন! আপনি অনেক বড়মাপের একজন মানুষ ছিলেন। অনেক বড় মনের মানুষও ছিলেন, সেটা সবাই জানে। আপনার ছিলনা কোন দম্ভ অহংকার। ...

কিট ও কীটপতঙ্গ

Image
কিট ও কীটপতঙ্গ ঝড়ে বিধস্ত জঙ্গল। গাছ উপড়ে পড়ে আছে। এক লোক চিৎকার করে কাৎরাচ্ছে গাছে নীচে চাপা পড়ে। তাকে বাঁচানোর জন্য আশপাশ থেকে লোকজন ছুটে আসে। দা, কুড়াল, খুন্তী দিয়ে গাছে কোপ দিতে যাবে; এমন সময় কেউ একজন বলে উঠল, 'এ-ই গাছ কাটা যাবেনা। এটা বনবিভাগের গাছ। তাদের অনুমিত ছাড়া গাছ কাটা ঠিক হবেনা।' সমাজের লোকজন একযোগে বলে উঠল, 'তা ঠিকই বটে। আগে অনুমতি নিতে হবে।' দা, কুড়াল, খুন্তী ফেলে সবাই মিটিংয়ে বসে। মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হয়, লিখিত দরখাস্ত করতে হবে। এদিকে লোকটি গাছের নীচে মরণ যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে আর বলছে, 'ভাই, আগে আমাকে বাঁচান।' সমাজের লোকজন তাকে ধমক দিয়ে বলল, 'ঐ মিয়া, আমরা কি বসে আছি? তোমাকে বাঁচানোর জন্যই তো কাজ করছি।' সমাজের লোকজন বন বিভাগের অফিসে দরখাস্ত জমা দিলো। বন বিভাগ তদন্ত কমিটি করলো। সে কমিটি সরেজমিনে তদন্ত করতে আসলো। তখনও লোকটি মরণ যন্ত্রণায় ছটফট করছে আর চিৎকার করছে। বন বিভাগের লোকজন তার চিৎকার শুনে রেগে বলল, 'ঐ মিয়া চিল্লাইবা না, দেখছো না আমরা কাজ করছি। তোমাকে উদ্ধারের অফিসিয়াল প্রসেস চালাচ্ছি।' বন বিভাগ তদন্ত করে রিপোর্ট নিয়ে অফিসে গেলেন। ব...

একজন করোনাযোদ্ধা

Image
একজন করোনাযোদ্ধা   অফিস থেকে বের হওয়ার সময় খেয়াল করি। চার্জ ফুরিয়ে মোবাইলটা বন্ধ হয়ে আছে। পকেটে মোবাইলটা রাখতেই বিপদ আরেকটা টের পেলাম। ভুল করে বাসার চাবি ফেলে এসেছি! এই রাতে বাসায় এখন ঢুকবো কেমন করে? বাসায় ফোন করে গেট খুলতে বলবো, সেটাও বলতে পারবো না। বড়ই দুশ্চিন্তায় পড়ে গেলাম। এখন শেষ ভরসা বাসার কেয়ারটেকার। তাকে ভালোই ভালো, পেলেই হলো। এই ভাবনা-চিন্তায় রওনা দিলাম।  আমার দশ বছরের ঢাকার জীবনে এমন সুনশান-নিস্তব্ধতার শহর দেখি নাই। নির্জন কোলাহলমুক্ত রাস্তার ল্যাম্পপোস্টের সোডিয়াম আলোয় হাঁটতে ভালোই লাগছে। গত একমাস এভাবেই হেঁটে বাসায় যায়। যদিও অফিস থেকে এম্বুল্যান্স সার্ভিস দিছে। আমার ব্যাকওয়ার্ড রাস্তার কারণে যায় না। একদিন অবশ্য এম্বুল্যান্সে গেছি, তবে বাসায় যেতে পারিনি। অফিস থেকে উঠে শহর ঘুরে আবার অফিসেই এসে নেমেছি। মিরপুর শ্যাওড়া পাড়া থেকে দু'তিন মিনিট সময় লাগে আমরা বাসায় হেঁটে আসতে। অফিস থেকে ব্যাকসাইড হওয়ায় ওদিকে যাতায়াত কম, সেখানে গিয়ে পইপই করে ঘুরেও আমার বাসার গলির মুখ আমি খুঁজে পায়নি। রাস্তায় মেট্রোরেলের কাজ হচ্ছে। উচু বেষ্টনীর মাঝে খেই হারিয়ে ফেলেছিলাম। ড্রাইভারকে বললা...

মধ্যবিত্তের কথা বলছি...

Image
মধ্যবিত্তের কথা বলছি   এই কিছুদিন আগের কথা। আমার বাচ্চার সুস্থতার জন্য ওর আম্মু মানত করেছিল। একটা মুরগি সাদগা দিবে। আমাকে বলল, 'তুমি একটা মুরগি কিনে কোন গরীব মানুষকে দিয়ে দাও।' এর আগেও বেশ কয়েকবার মানত করেছে। সেগুলো দ্রুতই পূরণ করেছি। যেগুলোর বেশিরভাগ ছিল মসজিদে টাকা দান। কিন্তু এবার সে মানত করেছে, জানের সাদগা হিসেবে একটা দেশী মুরগি দিবে।  এখন মুরগি কিনে কাকে দিবো? মনে মনে এমন জনকে খুঁজতে থাকি। পীরের দরবার কিংবা মাজার ব্যক্তিগত ভাবে পছন্দ করিনা। রাস্তার ফকির-মিসকিনকে দিবো ভাবলাম। কিন্তু কর্পোরেট ফকিরের ভিড়ে সত্যিকারের ফকির খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। এই বিষয়ে নিয়ে অন্য একদিন আর্টিকেল লিখবো।    যাইহোক, বউয়ের মানত পূরণে দুদিন দেরি হওয়ায় ঘ্যানঘ্যান শুরু করে দিল। 'তোমাকে একটা মুরগি সাদগা দিতে বলেছি। তুমি দিচ্ছো না কেন?' বললাম, 'দেখ এটা আমাদের গ্রাম না। যদুর বাপ মধু মিয়া গরীব মানুষ। একটা মুরগি কিনে দিয়ে আসলাম। খেয়েদেয়ে দোয়া করলো। এটা হচ্ছে ঢাকার শহর! না জেনে যাকে তাকে দিলে পিছে দেখা যাবে, সে মুরগিটা বিক্রি করে শুকনো (গঞ্জিকা) খেয়ে ঝিম মেরে পড়ে থাকবে।' অবশেষে সিদ্ধান্ত নিলাম,...

হোম কোয়ারেন্টাইন

Image
দৈত্য যখন হোম কোয়ারেন্টাইনে ঘুমের মধ্যেই শুনতে পারছি। হঠাৎ ঘুম ভেঙে লাফিয়ে উঠে বসলাম। টিভির দিকে তাকিয়ে দেখি অফ আছে। মোবাইল চেক করে দেখি এফএম রেডিও বন্ধ। তাহলে এই গানের আওয়াজ কোত্থেকে আসছে? বাহির থেকে আসছে কি-না জানালা দিয়ে উঁকি দিলাম। নাহ, বাহির থেকে আওয়াজ আসছেনা। আওয়াজ ঘরে মধ্যেই হচ্ছে। আমি এদিক ওদিক তাকিয়ে খুঁজতে লাগলাম। গানটি,  আলিফ লায়লা,  আলিফ লায়লা,  আলিফ লায়লা... দেখ সব নতুন কাহিনি... মন ভরে যায় তার বানী... কত যুগ পেরিয়ে গেছে... নতুন তবুও রয়ে গেছে... আলিফ লায়...লা...আ...আ...আ... আমি নিশ্চিত ঘরের মধ্যে আলাদীনের দৈত্যে অবস্থান করেছে। আমি তন্নতন্ন করে খুঁজতে লাগলাম। এককোণে কুপীর মতো কী যেন দেখা যাচ্ছে। আমি গুটিগুটি পায়ে এগিয়ে গেলাম। ইউরেকা, আমি পেয়ে গেছি আলাদীনের আশ্চর্যের প্রদীপ! এই ঘরে আলাদীনের আশ্চর্যের প্রদীপ কোথা থেকে এলো? সেটা আমার জানার বিষয় না, আমি প্রদীপটা পেয়েছি। এটাই বিষ্ময়কর বিষয়! প্রদীপের গায়ে বাংলা হরফে লেখা 'বয়সের ভারে তিনটি ইচ্ছা পূরণের ক্ষমতা নেই। তবে একটি ইচ্ছা পূরণ করতে পারি।' মনে মনে ভাবি, ইস! তিনটি ইচ্ছে পূরণ হলে ভালো হতো। যাইহোক, একটা ইচ্ছে প...

করোনা ভাইরাস

Image
রোম যখন পুড়ছিল, নিরো তখন বাঁশী বাজাচ্ছিল। ঠিক তেমনই করোনা যখন ধেয়ে আসছিল, সরকার তখন উৎসবে মেতে ছিল। হাতে যথেষ্ট সময় পাওয়ার পরেও সরকার বিমানবন্দর গুলোতে থার্মাল চেকাপ বাড়ানো বা লক ডাউন করে নাই। কোয়ারেন্টাইন গুলো সেনাবাহিনীর আওতায় নিয়ে আসে নাই। ডাক্তারদের নিরাপত্তার জন্য পিপিই, গ্লাভস, মাস্ক রেডি রাখে নাই। সরকারের গাফিলতির কারণে করোনা ভাইরাস দেশে প্রবেশ করে মহামারীর দিকে ধাবিত হচ্ছে। প্রতিদিনই তিন এর ঘরের নামতা আওতাতে আওতাতে আক্রান্তের সংখ্যাটা বাড়ছিল। এখন তিনের ঘরের নামতা এক লাফে ছয়ের ঘরে গিয়ে ঠেকছে। আল্লাহ ভাল জানে, শেষমেশ কত ঘরের নামতায় গিয়ে ঠেকে?  টি আই বি রিপোর্ট বলছে, করোনায় আক্রান্ত ১২ হাজারেরও অধিক! সরকার সঠিক সংবাদ প্রকাশ করছেনা! আবার এটাও ঠিক, পরীক্ষা করার অভাবে অনেক জানা সম্ভব হচ্ছেনা। So that's means, No Test. No Corona. Corona is under control. 'করোনা মোকাবিলায় আওয়ামী লীগ যথেষ্ট! আওয়ামী লীগ তারচে’ অধিক শক্তিশালী!' ওবায়দুল কাদের সাহেবের কথায় আপনারা করোনাকে ভয় না পেয়ে গায়ে হাওয়া লাগিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন! বগল বাজাচ্ছেন নাসিম সাহেবের কথায়, 'শেখ হাসি...

আর কি দেখার বাকি আছে?

Image
সকালবেলা নাস্তা করার পর চায়ে চুমুক দিয়ে ফেসবুকে ঢুঁ মারছি। নিউজ ফিডে একটা ছবি দেখে চা ভিতরে না ঢুকে মুখ ফসকে বেরিয়ে গেলো। এটা দেখে বউ অবাক হয়ে বলল, 'কী ব্যাপার! বিষম খেলে নাকি? আমি মুখ মুছতে মুছতে বললাম, 'নাহ, আক্কেলগুড়ুম হয়েছে।' একথা শুনে সে আরও অবাক হয়ে বলল, 'আক্কেলগুড়ুম! কিভাবে হলো?' বললাম, 'আক্কেল দাঁতের সাথে বারি খেয়ে চা ভিতরে না ঢুকে বেরিয়ে গেছে।' 'আজব কথা! আক্কেল দাঁতের সাথে চা বারি খায়! ক্যামনে?' তার এই প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে মোবাইলে ছবিটা দেখিয়ে বললাম, 'বঙ্গবন্ধুকে সারাজীবন ভাষন দিতে দেখেছো, আজ দেখ বঙ্গবন্ধু বসে শিক্ষামন্ত্রীর ভাষন শুনছে। হাততালি দিচ্ছে মাথায় স্কার্ট পড়ে। বে-আক্কেল কান্ডকারখানা দেখে আক্কেলগুড়ুম হয়ে চা বেরিয়ে গেছে, এজন্য শুকরিয়া আদায় করো। ভাগ্যিস, আলজিভের সাথে লটকে থাকে নাই। তাহলে বিপদে পড়ে যেতাম।' বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে যেসব কর্মকাণ্ড হচ্ছে, তা রীতিমতো উদ্বেগজনক। হাজারো বঙ্গবন্ধুর মুখোশ ছাত্রীদের মুখে লাগিয়ে যারা এমন কান্ডটা ঘটালো। তারা বলদ ছাড়া আর কিছুনা। এই বলদগুলোর জানা উচি...

এক অসহায় বাবা

Image
এক অসহায় বাবা বাসা থেকে বের হচ্ছি, হঠাৎ ধপাস করে হাত ফসকে তালাচাবি মেঝেতে পড়ে ছিটকে গেলো। আমি তালাচাবি কুড়িয়ে হাতে নেড়েচেড়ে নষ্ট হয়েছে কি-না চেক করলাম। তারপর বাসায় তালা লাগিয়ে অফিসে যাওয়ার জন্য বের হলাম। হুট করে এমন কেন হলো? সেটা বুঝতে পারলাম, তার কিচ্ছুক্ষণ পরই। রাস্তায় এসে গাড়িতে উঠছি মাত্র, চাচাশ্বশুর ফোন দিলো। রিসিভ করতেই বলেন, নওরিন হঠাৎ জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছে। মুখ দিয়ে ফেনার মত লালা বের হচ্ছে। আমি প্রচন্ডরকম শক খেলাম, আমার দু'বছরের বাচ্চা মেয়ের এমন খবর শুনে। দ্রুত হাসপাতালে নেওয়ার কথা বলে অফিসে গেলাম। অফিসের ম্যানেজার স্যারকে বলেই গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিলাম। ফোনে খোঁজখবর নিচ্ছি আর কাঁদছি। এছাড়া অসহায় বাবার আর কিছু করার নাই। রাস্তায় কিছুটা জ্যাম থাকায় বাস থেকে নেমে পাগলের মত দৌড় দিলাম। টেকনিক্যাল মোড়ে এসে দূরপাল্লার বাস কাউন্টারে টিকিট কেটে রানিং বাসে চড়ে বসলাম। পাবনা সদর হাসপাতাল থেকে আমার বাচ্চাকে রাজশাহী অথবা ঢাকায় নিয়ে যেতে বলেছে শুনে আমার অবস্থা পাগল প্রায়। বুক ফেটে কান্না হুহু করে বের হচ্ছে। আমি পাগলের মত কাঁদছি আর ঝড়ে বিধস্ত পাখির মত শুধুই ছটফট কর...

ভোট দিমু দিনে না রাতে?

Image
আমি সাধারণত মোবাইলের ম্যাসেজ দেখি না। বিভিন্ন অফারের আজাইরা ম্যাসেজ না দেখেই ঠাশঠাশ করে ডিলিট মারি। তো ম্যাসেজ ডিলিট মারতে গিয়ে একটি ম্যাসেজ দেখে থমকে গেলাম।  ঢাকা উত্তরে মেয়র আতিকুল সাহেবের ম্যাসেজ। যিনি নয় মাস আগে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মেয়র হয়েছিলেন। ম্যাসেজটি হলো 'আতিকুল ইসলামকে ... ভোট দিন। উন্নয়নের অংশ নিন।' ম্যাসেজটি পড়ে আমি চিন্তায় পড়ে গেলাম। আতিক সাহেব ভোট দিতে বলেছেন ঠিক আছে। কিন্তু ভোট দিনে দিবো না রাতে দিবো তা কিছুই বলেন নি।  এর আগে নির্বাচনের সময়, আতিক সাহেব জনগনকে সকাল সকাল নিজ নিজ বাসা থেকে গরম খিচুড়ি খেয়ে ভোট কেন্দ্রে যেতে বলেছিলেন। এবার এখনো সেরকম কিছু বলেন নি। তবে এবার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আছে। তাই আশা করবো, আপনি ক্লিয়ার ম্যাসেজ দিবেন। আমি রাতে ডিনার সেরে উন্নয়নের ঢেঁকুর তুলে ভোট দিতে যাবো। রাতে ভোট দেওয়ার আমার খুবই শখ। গতবছর রাতে আমার চাচাতো ভাই ক্রিকেটার ব্রায়ান লারার ৪'শ ষ্টেটের রানের রেকর্ডটা ভেঙ্গে দিয়েছে ভোট দিয়ে। সে রাতে একাই ৫'শ ভোট দিছে।  ভোট দিয়ে এসে সকালে আমাকে বলল, 'ভাই, তোর কাছে প্যারাসিটামল আছে।' বললাম, ...

অদ্ভুত কিসিমে’র বাঙালি

আগারগাঁওয়ের আইডিবি ভবনে গেছি। এক কম্পিউটারের দোকানে গিয়ে বললাম,  'ভাই, ভিডিও এডিটিং ও গেমিংএর জন্য মাঝারি মানের কম্পিউটারের একটা কোটেশন দিন।' দোকানের কর্মচারী ৭০ হাজার ৩ শত টাকা দামের কম্পিউটারের কোটেশন দিল। ইন্টেলের কোর আই-৫ এর প্রসেসরের দাম ২০ হাজার ৫ শত টাকা দেখে জিজ্ঞেস করলাম, 'ভাই, এই প্রসেসরের দাম তো ১৬ হাজার সামথিং...' কর্মচারী বলে উঠে, 'ছিল তবে এখন বাড়ছে।' বললাম, 'প্রযুক্তির দাম দিন দিন কমে শুনেছি। আর আপনি বলছেন বাড়ছে! ঘটনা কী? কর্মচারী ঝটপট উত্তর দিল। 'করোনা ভাইরাস।' ভাইরাস কম্পিউটার ক্র‍্যাশ করে। এখন দেখছি, দামও বাড়ায়! অবাক কান্ড! আমি থ মেরে আছি দেখে সে বলল, 'প্রযুক্তির একটা বড় অংশ আসে চীন থেকে। করোনা ভাইরাসের জন্য কোন প্রডাক্ট বাংলাদেশে আসছে না।' আমি কোন কথা না ওঠে আসি। মনে মনে বলি, 'অদ্ভুত কিসিমে’র এই বাঙালী। যখন কারোর ফাঁটে, তখন বাঁশের গিরা গুণে ব্যবসা করে।' 

সাচ্চা কুত্তার বাচ্চা

গতকাল রাতে অফিস থেকে বাসায় ফিরছি। বাংলাদেশ বেতার সেন্টারের কাছাকাছি এসে দেখি, একটা ছোটোখাটো হট্টগোল। ঘটনাটি কী? জানার জন্য কাছে এগিয়ে বুঝলাম। মোটর সাইকেলকে পেছন থেকে চাপা দিছে মিনি মাইক্রোবাসটি। আমি মাইক্রোবাসটির সামনের গ্লাসে তাকিয়ে অবাক হয়ে গেলাম। লেখা আছে 'গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার' সড়ক ও সেতু মন্ত্রনালয়। তারমানে ফাঁটাকেষ্ট খ্যাত ওবায়দুল কাদের সাহেবের মন্ত্রনালয়ের গাড়ি। আর এই মাইক্রোবাসটি পেছন থেকে যে মোটর সাইকেলকে ধাক্কা দিছে, সে মোটর সাইকেল কোন জনসাধারণের না স্বয়ং যমের মোটর সাইকেল মানে পুলিশের। পুলিশ ড্রাইভারকে 'সরি' বলতে বলছে। কিন্তু  ড্রাইভার 'সরি' বলবে না। বলবেই বা কেন? ড্রাইভার হচ্ছে সড়ক ও সেতু মন্ত্রনালয়ের লোক। 'সরি' বললে ফাঁটাকেষ্ট'র মান থাকবো? পুলিশও দমে যাওয়ার পাত্র না। সরকারের পাছায় সুপারগ্লু আঠা লাগিয়ে ক্ষমতায় বসিয়ে রাখছে। সরকারও এদের ঘুষ খাওয়া থেকে শুরু করে গু খাওয়া সব হালাল করে দিছে। ড্রাইভারের কাছে টাকা চেয়ে বসেনি, এটা ওর চোদ্দগুষ্টির ভাগ্য।  আমার খুব ইচ্ছে করছিল, কুত্তায় কুত্তায় কামড়াকামড়ির শেষ দৃশ্য পর্যন...

১৭ ই জানুয়ারী: A wedding day

Image
জানুয়ারী মাস ২০১৪ সাল। বিতকির্ত এক তরফা নির্বাচন পরবর্তী সময়; যখন পুরো দেশটা সহিংসতায় উত্তাল, বেসামাল ও টালমাটাল। ঢাকার পরিস্থিতি তখন ভয়াবহ অবস্থা। ভয় আর আতঙ্কের মধ্যে দিয়ে চলছি। একদিন সন্ধ্যায়, ধানমণ্ডি-১৫ তে হঠাৎ ককটেল বিস্ফোরণ হয়। সেইসাথে গোলাগুলি শুরু হয়ে যায়। আমি দৌড়ে কেএফসির পাশে একটি এটিএম বুথের মধ্যে ঢুকে পড়ি। প্রাণ রক্ষাতে গাদাগাদি করে ভিতরে চুপসে ছিলাম অনেকক্ষণ। এরকমই ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে আমার জীবনযুদ্ধও চলছে। মিরপুরে ডিজিল্যাবে আমার চাকরি হয়েছে। হাতে সময় নিয়ে জয়েন্টও করেছি। কাজী ফার্ম লিঃ এর দীপ্ত টিভি'র রাইটিং ওয়ার্কশপে ট্রেনিং করছি। আবার বর্তমান চাকরিটাও করছি। প্রচন্ডরকম ব্যস্ততা। সকালে ঘুম থেকে উঠে নাস্তা খেয়ে দৌড়ে দীপ্ত টিভি র রাইটিং ওয়ার্কশপে যেতাম। সেখান থেকে বের হয়ে তিনটায় ছুটে অফিসে যেতাম। অফিস শেষে রাত এগারোটায় বাসায় ফিরে চারটে ডালভাত নাকেমুখে দিয়েই ল্যাপটপ নিয়ে বসতাম। রাত জেগে দীপ্ত টিভি র এসাইনমেন্ট তৈরি করতাম। মাথার উপর প্রচন্ডরকমের চাপ। খাচ্ছি ডান হাতে, কাজ করছি বাম হাতে। বাথরুমেও যাচ্ছি ল্যাপটপ নিয়ে। দম ফেলার সময়ও নাই। দেশটার মতই আমারও অবস্...