Posts

Showing posts from 2018

একটি পোস্টার খেকো ছাগল

লেবেল প্লেয়িং নির্বাচন হতে চলছে। অথচ একটি দলের নির্বাচনী পোস্টার ছাড়া আর কোন পোস্টার নেই। সেই নির্বাচনী পোস্টারে রাস্তার চারিধারে ছেয়ে গেছে। গাছের কোন পাতা দেখা যাচ্ছেনা, সেই পোস্টারের কারণে। যেদিকে তাকান শুধু একই পোস্টার আর পোস্টার। সবুজ অরণ্য এখন পোস্টারণ্য হয়ে গেছে।           আমি সেই পোস্টার দেখছি আর হাঁটছি। হঠাৎ পিছন থেকে নুরা পাগলার ডাক শুনতে পেলাম। ফিরে তাকিয়ে দেখি, নুরা পাগলা দড়ি ধরে টানতে টানতে একটা ছাগল নিয়ে আসতেছে। ছাগলটা কিছুতেই আসতে চাইছে না কিন্তু নুরা পাগলা জোর করে টেনে আনছে। ওর কষ্ট দেখে কিছুটা পথ এগিয়ে গেলাম। নুরা পাগলা হাঁফ ছেড়ে বলল, -যাক রাস্তায় আপনেরে পাইয়া গ্যাছি, গুরু। ছাগলডা নিয়া বহুত প্যারার মইধ্যে আছি। -কি হয়েছে? -সেটা'র জন্যি আপনার কাছে আইছি -সমস্যাটা কার? তোর না ছাগলের? -গুরু, ছাগলের আমি কিঞ্চিত বিরক্তি নিয়ে বললাম, -ইদানীং তুই বেশি বাড়াবাড়ি করছিস  -ওমা! কুথায় বাড়াবাড়ি করলাম?  -এইযে, তোর সমস্যার সাথেসাথে গরু-ছাগলের সমস্যাও নিয়ে আমার কাছে আসতেছিস! -গুরু, আপনি আমা...

আলাদিনের দৈত্য

Image
রাতে বিজয় দিবস পালন করে বাসায় ফিরছি। শরীর বেজায় ক্লান্ত। হঠাৎ শক্ত কিছুর আঘাত পায়ে লেগে হোঁচট খেলাম। রাতের আধো আলোয় তাকিয়ে দেখি, সেটা একটি বদনা। কেউ হয়ত ইমার্জেন্সী প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দিতে বদনা রেখেই ছুটে গেছে। তাই ভাবলাম, ফেলে যাওয়া বদনাটা দিয়ে আসি খুঁজে বদনার মালিককে। বেচারা হয়ত কোন মাইনকা চিপায় বদনা ছাড়াই একাকী বসে আছে। বদনাটা দিলে তার অন্তত উপকার হবে। সেই ভাবনায়, বদনাটি হাত দিয়ে ধরলাম। বদনাটা নাড়াচাড়া করতে গিয়ে অবাক হলাম, এটা বদনা নয় প্রদীপ। হ্যাঁ আলাদিনে প্রদিপ মনে হচ্ছে! ঘষা দিবো কিনা ভাবছি, ঠিক তখনি আমাকে অবাক করে দিয়ে প্রদীপ থেকে দৈত্য বের হয়ে এলো। বুঝতে পারলাম, প্রদীপের অবস্থাও আধুনিক স্মার্ট ফোনের মত হয়ে গেছে। একটু ছোঁয়াতেই কাজ হয়ে যায়। আমি মনে মনে বলি। নিশ্চয়ই এবার দৈত্য বলবে, 'মু হাহাহা! মালিক কি চাই?' কিন্তু দৈত্য ব্যাটা তার কিছুই বললো না, ইমার্জেন্সী ভাবে শুধু বলল, 'বাথরুম কোনদিকে?' আমি একটি পাবলিক টয়লেট দেখিয়ে দিলাম। কিছুক্ষণ পর, দৈত্য পাবলিক টয়লেট থেকে বের হয়ে বমি করে দিলো মুখ ভরে। তারপর শান্ত হয়ে বলল, 'আপনাদের পাবলিক ট...

বিজয় দিবস

Image
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের  দরাজ কন্ঠের আওয়াজ 'বাংলার মানুষ মুক্তি চাই, বাংলার মানুষ বাঁচতে চাই, বাংলার মানুষ অধিকার চাই।' গলির মোড়ের মাইকে বাজছে, আমি রাস্তা দিয়ে হাঁটছি আর শুনতেছি। ভাবতেছি, উনার কথার সাথে আজকের দিনের পরিস্থিতির দারুণ মিল। মনে হচ্ছে, উনি বর্তমান সময়ের কথায় বলছেন। সত্যি, আজ বাংলার মানুষ মুক্তি চাইছে। বাংলার মানুষ প্রকৃত মুক্তির স্বাদ কখনো পায়নি। স্বাধীনতা শুধুমাত্র কাগজ কলমে লিপিবদ্ধ আছে। বাস্তবে বাংলার মানুষ রিফিউজির চেয়েও ভয়াবহ অবস্থায় আছে। স্বাধীনতার এতো বছর পরেও পাকবাহিনীর মত একই কায়দায় বুটপরা লোক ও তাদের দোসর বুলেট দিয়ে মুক্তিকামী মানুষদের হত্যা করছে, মা-বোনকে নির্যাতন করছে, গনমাধ্যমের কন্ঠরোধ করছে। বলার আর অবকাশ থাকে না, আমরা কি সত্যি স্বাধীন!!

কালা বন্দুক

Image
হঠাৎ রাস্তায় নুরা পাগলার সাথে দেখা হয়ে গেলো। নুরা পাগলার ফুরফুরে মেজাজ দেখে জিজ্ঞেস করলাম, -: হ্যারে নুরা, তুই কিস্তিতে যে বন্দুক কিনেছিলি... একথা শুনে বুকের সিনা টান করে নুরা পাগলা বলল,    -: হ' কালা বন্দুক কিনচিলাম -: কিস্তি পরিশোধ করেছিস? -: শোধ করে আরেকটা বন্দুকের অর্ডার দিছি -: বলিস কী! ছিনতাই-চাঁদাবাজি ভালোই করেছিস তাহলে? -: কী কচ্ছেন! আপনি মানা করবার পর আর করি নাই -: তাহলে! কিস্তি পরিশোধ করেছিস কিভাবে? -: গুরু, বাড়িতে একটা লাল মোরগ আছিল না? -: দেখে ছিলাম হয়ত -: সেই মোরগের ডিম বেচে... -: মোরগও ডিম পাড়ে? -: হ্যাঁ, দিনে দুটা করে ডিম পাড়ে -: কিভাবে সম্ভব? -: সবই কালা বন্দুকের খেল -: বলিস কি?    -: মোরগের পাছায় বন্দুক ঠেকায়ে বলি, হয় জান দিবি না হয় ডিম দিবি। গুরু, জানের ভয়ে মোরগ প্রতিদিন দুটি করে ডিম দেই। টক অফ দ্যা টপিক: আজ আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি কালা বন্দুকের দৌরাত্ম্যে কুন্ঠিত। এখানে আইন, শাসন ও বিচার ব্যাবস্থা চলে গেছে কালা বন্দুকধারীর হাতে। যেখানে নীতি নৈতিকতার কোন বালাই নেই। তিনি একচ্ছত্র আধিপত্যে কল-কাঠি যেভাব...

প্রতিবাদী ভাষা

Image
প্রতিবাদী গতকাল রাতে লেগুনায় চড়ে বাসায় ফিরছি। হটাৎ একটা প্রাইভেট কার মাঝপথে লেগুনার সামনে ক্রস করে পথ আটকায়। তারপর কার থেকে কয়েকজন যুবক রেব হয়ে লেগুনার ড্রাইভারকে এলোপাথাড়ি মারা শুরু করে দেয়। আমরা কিছু বুঝে উঠার আগেই, ড্রাইভারের হাতটা হ্যাঁচকা টান দিয়ে মট করে ভেঙে দিলো। এমন ঘটনা দেখে, লেগুনা থেকে বের হয়ে ছুটে গেলাম। তখন ঘটনাটা কি সেটা জানা মূখ্য বিষয় না। সবাই লোকটিকে বাঁচানোর জন্য বলছি, -"ভাই, ভাই যা হওয়ার হয়েছে। মাপ করে দিন" আমাদের কথা তো শুনছেই না, উল্টো রিএ্যাক্ট করেই যাচ্ছে। লেগুনার লুকিং গ্লাস ভাঙ্গলো, সামনের গ্লাস পরিস্কার করার এন্টেনা ভেঙে ফেললো, সেইসাথে ড্রাইভারকে তো মার চলছে। আমরা ঠেকাচ্ছি আর রিএ্যাক্টশন দেখছি। ঠেকালেই তাদের রিএ্যাক্টশন আরও দ্বিগুণ বেড়ে যায়। দেখে মনে হচ্ছে, ধনী আজন্মের ঘরের বেজন্মা পোলাগুলো ড্রিঙ্কস করেছে। ড্রাইভারের অপরাধ হয়ত প্রাইভেট কারকে সাইড দেয় নাই। পুরা রাস্তা জ্যাম লেগেছে। আমি বাংলা সিনেমার নায়ক না যে, ডিসুম ডিসুম মেরে লোকটি উদ্ধার করবো। চোখের সামনে এমন অন্যায় দেখে চুপ করেও থাকতে পারছি না আবার হাত দিয়ে প্রতিবাদ করবো তাও পারছি না।...

হুজুগে বাঙালী ও একটি প্রেম কাহিনী

Image
প্রেমের টানে বাংলাদেশে মার্কিন তরুণী আমরা জাতি হিসেবে যে, হুজুগে বাঙালী! এর প্রমাণ আবারও দিলাম। প্রায়ই সবকটি নিউজ পোর্টালে একটি খবরে সয়লাব। সেটা দেখে আমরা হুমড়ি খেয়ে পড়েছি, মন্তব্য করছি, ফেসবুকে খুব আবেগী ভাষায় স্ট্যাটাস দিচ্ছি, শেয়ার দিচ্ছি, আবার কেউ কেউ হায়-হুতাশও করছি। আহারে, প্রেমের টানে বরিশালে সদূর মিনেসোটা থেকে ছুটে এলো আমেরিকান কন্যা। অথচ, আমার জরিনা। বাড়ির পাশে থেকে এলো না.... খবর: 'প্রেমের টানে বরিশালে মার্কিন তরুণী'। প্রেমের টানে বরিশালে এভাবে আমেরিকান কন্যার চলে আসা এবং নিম্নবিত্ত পরিবারের ছেলে রং মিস্ত্রী অপু মন্ডলকে বিয়ে করার ঘটনায় স্থানীয়রা সবাই হতবাক। সেই সঙ্গে মার্কিন তরুণী সারা মেরিয়ানের সরলতা ও আন্তরিকতাও সবাইকে মুগ্ধ করেছে। আমি প্রথমে ভিম্রী খেয়ে গিয়েছিলাম, সারা ও অপু মণ্ডলের ছবি ফেসবুকে দেখে! এটা কেমনে সম্ভব? পরে ঘটনাটি পড়ে যেটা বুঝলাম, এখানে অবাক হওয়ার কিছুই নেই। সবই ভবের মায়া। ভাবে মজিলে মন, কিবা হরি কিবা ডোম! যাইহোক, প্রথম নিউজটি পড়ার সাথেসাথেই অপু মণ্ডলের টাইমলাইনে ঢুকেছিলাম। তখন তার কোন ফলোয়ার ছিল না। এখন দেখি তার ফলোয়ার হাজার ...

নুরা পাগলা গবেষণা ইনিস্টিউট

Image
অনেকদিন ধরে নুরা পাগলার খবর নাই। নুরা পাগলার খবর জানতে অনেকেই আমাকে ইনবক্স করেছেন। কেউ কেউ আবার ফোনও দিয়েছেন। এখন পরিচিত কারো সাথে দেখা হলে সবার আগে নুরা পাগলার খবর আগে জানতে চাই। তো নুরা পাগলার বাসায় গিয়ে আমি পুরাই অবাক! বাসায়  এক বিরাট সাইনবোর্ড ঝুলছে। সেখানে লেখা আছে "নুরা পাগলা গবেষণা ইনিস্টিটিউট"।  আমি  গুটিগুটি পায়ে গবেষণা কেন্দ্রে প্রবেশ করলাম। নুরা পাগলা একটা যন্ত্র নিয়ে গবেষণা করছে। সেই যন্ত্রটি আমি আবহাওয়া অফিসে দেখেছিলাম। যার নাম এনিমোমিটার। বায়ুর স্প্রীড মাপার যন্ত্র। গলায় খাঁকারি দিয়ে বললাম, -কিরে, আমি এসব কি দেখছি? আমার কণ্ঠ শুনে নুরা পাগলা অবাক হয়ে ছুটে এসে বলল, -গুরু, আপনি! -অনেকদিন তোর খোঁজখবর নেই, তাই এলাম। -গুরু, আপনিও আমার খোঁজখবর রাখেন! -রাখবো কেন? -না মানে, আমার মত পাগল ছাগলের খবর কেউ রাখে? -পাগল বটে, তবে তুই ভবের পাগল  -ঐ একি। তা গুরু কি মনে করে এসেছেন?  -তোর গবেষণা দেখতে এসেছি -ও তাই! তাহলে দেখুন       -হঠাৎ ভিক্ষা ছেড়ে, গবেষক বনে চলে গেলি কিভাবে? -গুরু, সবই চেতনা মেশিনের সুফল।...

নির্বাচনীয় শুভেচ্ছা

Image
অফিসের একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজের খুবই  ব্যস্ত আছি। ঠিক সেইসময়,  হঠাৎ মোবাইলের রিংটোন বেজে উঠে। অপরিচিত নম্বর তবুও গুরুত্বপূর্ণ কল ভেবে রিসিভ করলাম। অপর প্রান্ত থেকে সালাম দিলো, -স্লামালেকুম -ওয়ালাইকুম আসসালাম -বস, ভালো আছেন? -আলহাদুলিল্লাহ, ভালো আছি -'নির্বাচনীয় শুভেচ্ছা' আপনার জন্য। আমি হিউম্যান রিসোর্স অর্গানাইজেশন থেকে বলছি জীবনে অনেক শুভেচ্ছা পেয়েছি। নির্বাচনীয় শুভেচ্ছা জীবনে এই প্রথম পেলাম এবং শুনলামও। তাই কৌতুহলী হয়ে জিজ্ঞেস করলাম, -আপনাদের অর্গানাইজেশনের কাজ কি? -বস, আমরা বিভিন্ন মিছিল মিটিংএ লোক সাপ্লাই করি -বাহ, দারুণ তো! -বস, আপনার কিংবা পরিচিত কারোর লোক সমাগমের দরকার হইলে জানাবেন। দু-আড়াই'শো লোক স্ট্যান্ড বাই আছে। -নির্বাচনের মৌসুমে ব্যবসাটা মন্দ না -বস, বিকাশে টাকা পাঠাবেন আর জানাবেন কখন কার নামে শ্লোগান দিতে হবে মাথায় একটা বুদ্ধি খেলে গেলো। আমার কাজের ব্যাঘাত ঘটাইছে, ব্যাটাকে একটু শায়েস্তা করি। তাই বললাম, -আমার নেতার নামে শ্লোগান দিন। আমি বিকাশে টাকা পাঠাচ্ছি। -বস, এই সামছু টাকার জন্য ওয়েট করে না। অক্ষনি শ্লোগান দিতাসি -ঠিক আছে, দিন ...

নুরা পাগলার নমিনেশন

সকাল বেলায় কলিংবেলের শব্দে দরজা খুলেই অবাক! একহাতে বাটি আর আরেক হাতে একটা কাগজ ধরে নুরা পাগলা দাঁড়িয়ে আছে। দেখে বললাম, -: কীরে, এত সকালে আবার কি পোঁকা মারতে এসেছিস? -: গুরু, এবার কুনো পুকা মারতে আসি নাই। -: তাহলে কেন এসেছিস? -: গুরু, দুয়া নিতি অ্যাইছি -: কিসের দোয়া? -: গুরু, একখান নমিনেশন কিনচি -: নমিনেশন কিনছিস! -: হ' কিনচি, হিরো আলম যদি কিনতে পারে তয় আমিও কম জনপ্রিয় না -: কোন পার্টির থেকে কিনেছিস? -: 'বাংলাদেশ জালালী পাটি' থেইকা -: এইটা আবার কোন পার্টি? -: গুরু, শুনেন নাই। ওইযে... -: ঐযে, কী? : বসেন, বসেন। বইস্যা যান। অ্যাঁই জালালী। হুক্কউ... শুনে অবাক হলাম! এই নামেও পার্টি আছে এবং তারা প্রধানমন্ত্রীর সাথে সংলাপও করেছে। প্রধানমন্ত্রীর সাথে সংলাপ না করলে আমরা এমনকি পার্টির নেতার ঘরের বউও জানতো না 'বাংলাদেশ জালালী পার্টি' নামে কোন পার্টি বাংলাদেশে আছে। সেটা জেনেই নুরা পাগলা 'জালালী পার্টি' থেকে নমিনেশন কিনেছে। হিরো আলম নমিনেশন কিনেছে 'জাতীয় পার্টি' থেকে। শুনেছি, সংসদসদস্য হতে পারলে নাকি মন্ত্রীও হবে। হিরো আলমের কাছে একাদশ সংসদে জাত...

ইতিহাসের কলঙ্কিত অধ্যায়

আজ ২৮ অক্টোবর। ২০০৬ সালের এই দিনে এদেশের রাজনীতির ইতিহাসে এক কলঙ্কিত অধ্যায় রচিত হয়। প্রকাশ্য দিবালোকে লগি বৈঠা দিয়ে নৃশংসভাবে  সাপের মতো পিটিয়ে মানুষ মারার এবং সেই লাশের উপর নৃত্য উল্লাস করার মতো ঘটনা পৃথিবীর ইতিহাসে  নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত স্থাপিত হয়। এই লোমহর্ষক ও বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড দেশ ও সারা বিশ্বের মানুষ বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে দেখে হতবাক হয়ে গিয়েছিল। গোটা বিশ্বের বিবেকবান মানুষের হৃদয় নাড়া দিয়েছিল। একটি স্বাধীন রাষ্ট্রে শুধুমাত্র রাজনৈতিক মতাদর্শের ভিন্নতার কারনে প্রকাশ্য ক্যামেরার সামনে পিটিয়ে মানুষ হত্যা করার মধ্য দিয়ে একটি গোষ্ঠী একটি নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছিল। যার ধারাবাহিকতা এখনো অব্যাহত। রাজন বা বিশ্বজিতের মত হতভাগা'রা তার প্রমাণ। আমি সকল বিচার বহির্ভূত হত্যাকে ঘৃর্না করি। আশা করব ২৮ অক্টোবরে নিহত মানুষগুলোর পরিবার একদিন নিশ্চয় হত্যাকারীদের সাজা দেখতে পারবে। ইতিহাস কোন খুনিকেই ক্ষমা করেনি। কখনো করবে না।।

পল্টিবাজ রাজনীতিবিদ

"আমি ভোর রাতে স্বপ্নে দেখেছি এই মসজিদে নামাজ পড়ছি। আর তাই আজ জুম্মায় আপনাদের সাথে নামাজ পড়তে এসে গেছি। আল্লাহর পেয়ারা বান্দারা ভালো ভালো স্বপ্ন দেখেন, আমিও দেখেছি” একটি গ্রামের মসজিদে জুম্মার নামাজ শেষে কাঁপাকাঁপা স্বরে হু. মু. এরশাদ সাহেব ভাষণ দিলেন। তখন তিনি বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। উনি যেই মসজিদে দাঁড়িয়ে ভাষণ দিয়েছিলেন, সেই মসজিদের এক মাস আগে থেকেই সংস্কার কাজ চলছিল আল্লাহর পেয়ারা বান্দা এরশাদ সাহেব আসবেন বলে। আর শেষ ১৫ দিন থেকে তার বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী পাহারা দিচ্ছিলেন মসজিদটি। উনার সেই ভাষণ শুনে মুসল্লিরা হাততালি দিতে দিতে মাথার টুপি খুলে ফেলে ছিলেন। ঝাঁকুনির চোটে খুলে পড়া টুপি উঠিয়ে আবার সেই হাততালি... তিনি একবার বলেন, 'জোটে নেই'। আরেকবার বলেন ‘জোটে আছেন’। আজকে বলছেন, বিএনপি নির্বাচনে না এলে তিন'শ আসনে প্রার্থী দিবেন'। তার মানে, ‘তিনি জোটে নেই কিন্তু নির্বাচনে আছেন’... আগামীতে হয়তো বলবেন, ‘আমি ছাগল'! তার পরেরদিন বলবেন, ‘আমি ছাগল না, আমি পাগল’। এরপর হয়তো বলবেন ‘আমি ছাগলও না, পাগলও না! আমি আসলে ভেড়া! বিদেশী ভেড়া, ব্ল্যাকশিপ ব্যা...ব্যা... ...

কপাল পোড়া বিএনপি

খরদুপুরে, হঠাৎ এক লোককে ভোঁদৌড় দিতে দেখে কৌতুহলী হয়ে জিজ্ঞেস করলাম, -এইযে ভাই, আপনি দৌড়াচ্ছেন কেন? চোখে মুখে আতঙ্ক নিয়ে লোকটি বলল, -ভাই, আকাশে সিঁদুরে মেঘ -সিঁদুরে মেঘ! আপনি কি ঘর পোড়া গরু? -নারে ভাই, কপাল পোড়া বিএনপি -তো কি হয়েছে? -আকাশে আগুন লেগেছে, অতএব ধর পাকড় শুরু হয়ে যেতে পারে... -বলেন কী!! -বলি কি সাধে, বজ্রপাতের শব্দেও হয়! বোমা বিস্ফোরণের মামলা!! খবর: গত ১৩ অক্টোবর রাতে তুমুল বৃষ্টিপাতের সাথে বিকট শব্দে বজ্রপাতও হয়। পরদিন ১৪ অক্টোবর পুলিশ বাদী হয়ে থানায় বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে বলে মামলা করেন। আর তাতে আসামি করা হয় দেড়শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মীদের। বজ্রপাতের শব্দকে ‘বোমা বিস্ফোরণ’ হিসেবে চালিয়ে দিয়েছে পুলিশ।।

স্বাধীনতা

আমি শখের বশে লেখালিখি করি। লেখার জনপ্রিয়তা অথবা সস্থা লাইকের জন্য লিখি না। বিবেকের তাড়না থেকে রাত জেগে, আরামের সময়টুকু বিসর্জন দিয়ে লেখার চেষ্টা করি। যেটা জানানো বা লেখার দরকার মনে করি লিখি। যদি কারো ভালো লাগে সেটা আমার জন্য বাড়তি পাওয়া। ব্লগ ও ফেসবুকে লেখার সুবাদে প্রতিদিনই ভালবাসা ও প্রসংশা পাঠকের কাছ থেকে পায়। আর এই পাওয়াটাই আমাকে দ্বায়িত্ব বাড়িয়ে দিচ্ছে দিন দিন। এখন দুই/তিন দিন না লিখলে অনেকেই ম্যাসেজ করে, ফোন দেয় নতুন লেখার খবর জানতে চাই। এটা আমার মত নগন্য মানুষের জন্য অনেক বড় পাওয়া। কিন্তু যতবার লিখতে বসি। মনে হয়, কেউ যেন ঘাড়ের উপর নিঃশ্বাস ফেলছে। শীতল নিঃশ্বাস। বন্দুকের নল তাক করে আছে। গাঢ় অন্ধকারের মত তাদের পোশাক। গা থেকে ভুড়ভুড় করে মৃত্যুর গন্ধ আসে। বুট ও বুলেটের শব্দে এই বুঝি ভারী হয়ে উঠবে চারিপাশ। একবার লিখি, আরেকবার মুছে ফেলি। ব্যাকস্পেস বাটনটা বড্ড নিরাপদ এখন। জানিনা কবে এই আতংকের সংস্কৃতির কালো রাত ভেদ করে হবে ভোর। আসবে স্বাধীনতা।। 

ক্যান্সারের ট্রিটমেন্ট

এক বন্ধু আমাকে ফোন দিয়ে বলল, -দোস্ত, তোর ভাবিকে ডাক্তার কিছু টেস্ট দিয়েছে শুনে বললাম, -সমস্যা নাই, অফিসে আসিস। টেস্টগুলো করে দিবো নে... -সমস্যা তো একটা আছে -কি সমস্যা? -তোর ভাবি সুঁচ দেখলে ভয় পায় আর রক্ত দেখলে ফিট হয়ে যায় -তাইলে, একটা কাজ কর। তুই আইনমন্ত্রীর কাছে নিয়ে যা -ইয়ার্কি মারছিস? -আরে নাহ, আইনমন্ত্রীই একমাত্র ডাক্তার! যিনি কোন পরিক্ষা নিরিক্ষার ছাড়াই রোগ নির্ণয় করতে পারে -বলিস কী! -হ্যাঁ, সাবেক বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার ক্যান্সার তো উনিই ধরেছিলেন। সেইজন্যি সিনহা বাবু চিকিৎসা নিতে বিদেশ গেছেন বন্ধুর রাজনৈতিক জ্ঞান খুব ভালো। সে চট করে বলল, -হ' শুনেছিলাম, উনি ক্যান্সারে আক্রান্ত। এখন আবার আইনমন্ত্রীর মুখে শুনি, উনাকে আদালতের মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে অবাক হয়ে বললাম, -নিশ্চয়ই, আদালতের মাধ্যমে ক্যান্সারের ট্রিটমেন্ট করবে।।

প্রশ্নপোঁকা নুরু

আমি ক্ষুদ্র জ্ঞানের মানুষ। সেই ভয়ে, সবসময় নুরা পাগলা ওরফে নুরুর কাছ থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করি। ওর মাথায় সবসময় প্রশ্নপোঁকা গিজগিজ করে। আমাকে দেখলেই সেই পোঁকাগুলো কিলবিল করে ওঠে। যথাসাধ্য সেই পোঁকাগুলো আমি মাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করি। আর সেই কারনেই, নুরু আমাকে গুরু মানে... পথিমধ্যে আমাকে দেখে নুরু বলল, -গুরু, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন কি? বললাম, -অপরাধীদের নিরাপত্তা দেয়া আর অপরাধ প্রতিরোধকারীদের শাস্তি দেয়ায় হচ্ছে, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। -বুজলাম না? -শোন, ডাকাতি করলে আগে যেমন শাস্তির বিধান ছিল। তেমন এই আইনে ডাকাতি প্রতিরোধ করতে চাইলেও শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। -কি ক'ন গুরু! -হুমম, অন্যায় দেখবি_শুনবি মাগার প্রতিবাদ করে কিছু বলতে পারবি না। নুরু মাথা চুল্কাতে চুল্কাতে বলল, -থাক, আর কিছু কমু না... 

Dead Man Bombing

১৯৯৫ সালে Dead man walking হলিউড মুভিটি মুক্তি পায়। মুভিতে মরা মানুষ হাটতে দেখা গেছে। মুভিতে অভিনয় করে নায়িকা Susan Sarandon অস্কার পুরস্কার পেয়েছিলেন। মরা মানুষ যদি হাটতে পারে। তাহলে মরা মানুষের ককটেল ছুড়লে দোষ কোথায়? ব্যপারটা বুঝতে হবে, বাংলাদেশে যা ঘটে তা হলিউডের মুভির মতই রোমাঞ্চকর ও কল্পকাহিনি মিশ্রিত। তাই, ২০১৮ সালে বাংলাদেশের পুলিশের Dead Man Bombing নিয়ে এত্ত সমালোচনা কেন? বুঝিনা!! বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে আমাদের প্রাণের দাবী, Dead Man Bombing এর জন্য mother of actor কে পুরস্কার হিসেবে অস্কার না নো'বেল দেওয়া হোক !!

নেতাদের প্রতি উপদেশ

খবর: ভারতে সমকামিতা এখন আর অপরাধ নয়। ভারতের সর্বোচ্চ আদালত সমকামিতাকে বৈধ বলে রায় দিয়েছে। পরের খবর, তরীকত ফেডারেশন আর জাকের পার্টিকে ভারত সফরে আমন্ত্রণ। পরের খবরটা সত্যি অবাক হওয়ার মত খবর! বাংলাদেশের যে দুটি (?) ইসলামীদল হিসেবে ভারত আমন্ত্রণ জানিয়েছেন সেই দুটি দল নিয়ে প্রশ্ন করা চেতনা বিরোধী। আর ভারতের স্বীকৃতি ছাড়া বাংলাদেশের কোন ইসলামীদল হতেই পারে না। ভাবছেন, তরীকত ফেডারেশন আবার কোন দল। তাহলে বলি, কিছুদিন আগে তরীকত ফেডারেশন নেতা মাইজভান্ডারীর আস্তনা থেকে প্রচুর গাঁজা আর মাদক দ্রব্য উদ্ধার হয়েছে। ঘটনা ঠিক তবে এটাও বুঝতে হবে, পীরের দরবারের গাঁজা আর বাহিরের গাঁজার মধ্যে অনেক তফাৎ। এই গাঁজা সেবনে প্রচুর ইশক পয়দা হয়। তা সাধারণ পাব্লিক বুঝবেনা। যাইহোক, ভারতের আশির্বাদ ছাড়া ক্ষমতা যাওয়া যায়না! আওয়ামীলীগ গেছে, বিএনপি ও জাতীয় পার্টি গেছে। তরীকত ফেডারেশন ও জাকের পার্টি বসে থাকবেন কেন? তারাও গেছেন। নেতাদের প্রতি তাই ছোট্ট উপদেশ, ভারত সফরের সময় পিছনের দিকটা যেন সুরক্ষিত থাকে সেই খেয়াল রাখবেন। বলা তো যাইনা, নতুন আইনে বিপত্তি ঘটতে কতক্ষন??

নূরা পাগলার মন্তব্য

বুলগেরিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় ১৭ জন নিহত হওয়ার পর দুর্ঘটনা দায় মাথায় নিয়ে পদত্যাগ করেন সেই দেশের পরিবহনমন্ত্রী, আঞ্চলিক উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এক সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, ‘রাজনৈতিকভাবে এর দায় আমরা নিচ্ছি এবং আমরা পদত্যাগ করছি। এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে যা করা জরুরি ছিল, আমরা তা করতে পারিনি’। বাংলাদেশে 'নিরাপদ সড়ক চাই' নামে এতো বড় আন্দোলন হয়ে যাওয়ার পরেও এই ঈদে সড়ক দুর্ঘটনায় ২৩৭ জন মারা গেছে এবং এখনো মৃত্যুর মিছিল চলছে। এক টিভি চ্যানেলে দেখলাম মন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হলে উনি বলেন, 'ভাই, কিয়া করবাম'? নূরা পাগলার মন্তব্য: ঠিকই তো কি আর করবার আছে বিনা ভোটের সংসদ সদস্য, মন্ত্রী ও সরকারের। পদত্যাগ করবার লাইগ্যা তো আর ক্ষমতায় আহে নাই। দাঁত কেলানো ছাড়া আর কিয়া করবাম! আর বুলগেরিয়ার হালারা তো বলদ। সামান্য ঘটনায় পদত্যাগ কইরা বইছে। এই জ্ঞান বুদ্ধি নিয়া মন্ত্রীত্ব মারাইতে অাইসে। ওগো পদত্যাগ ই ভালো। এত মান সম্মান নিয়া মন্ত্রীত্ব চলে না। অারে ব্যাটা ক্যামনে হেসে হেসে মন্ত্রীগিরি মারাইতে হয় আগে শেখ, নির্লজ্জ হ তারপর মন্ত্রীগিরি মারাইতে অাইস। বুচ্ছোস...

আহারে বাঙালি

Image
স্বাধীনতার পূর্বে বাঙালীকে শাসন ও শোষণ করা হত পশ্চিম পাকিস্তানের স্বার্থে আর বর্তমানে বাঙালীকে শাসন ও শোষণ করা হচ্ছে ব্যক্তিস্বার্থে মানে ক্ষমতায় টিকে থাকার স্বার্থে।। সরকার বুঝছে, গন-প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার উৎস এখন আর জনগণ নয়, প্রশাসন। মানে সরকারি আমলা ও কামলা (কর্মকর্তা ও কর্মচারি)। যদি খুশি করতে হয় তাদেরকেই করতে হবে। সরকার ভালো করে জানে, এই বাংলার জনগন কখনো তাদের ভোট দিবে না আবার ক্ষমতাচূর্ত করতেও পারবে না। কারন জনগণের সকল ক্ষমতার উৎস 'গণতন্ত্র' বন্দুকের নলের মুখে অবরুদ্ধ। আন্দোলন করবি তো গুলি খেয়ে মরবি। এখন সরকারকে ক্ষমতাচূর্ত করা প্রশাসন ছাড়া কারো পক্ষে সম্ভব নয়। তাই সরকার প্রশাসনকে খুশি করতে তাদের বেতন বাড়িয়ে দ্বিগুণ করেছে। অন্যদিকে জনগণের উপর সেই খরচের বোঝা চাপিয়ে দিয়েছে। মানে অতিরিক্ত কর আরোপ, ভ্যাট, বিদ্যুৎ, গ্যাস বিল বাড়িয়ে দ্বিগুণ করেছে। জনগণ মরে মরুক তাতে কিছু যায় আসে না সরকারের। সরকার তো আর জনগণের ভোটে গঠিত হয়নি। ভাবুন, সরকার যদি জনগণের দ্বারা নির্বাচিত হত, তাহলে কি তারা উচ্চ হারে ট্যাক্স, ভ্যাট চাপিয়ে দিতে পারত? বিদ্যুৎ ও গ্যাস বিল বাড়িয়ে দ্বিগুণ...

উন্নয়নের বিরিয়ানী

দরজায় ঠকঠক শব্দ। একরাশ বিরক্ত নিয়ে বিছানা ছেড়ে উঠে দরজা খুলে দেখি, নূরা পাগলা! প্রশ্ন করলাম, -তুই, বাসায় ঢুকলি ক্যামনে? -হে হে গুরু, কেয়ার্টেকাররে দিছি... -কি দিছিস! মাইর? -নাহ গুরু, সহনীয় মাত্রায় ঘুষ সাতসকালে পাগলা নিশ্চয় কোন ঝামেলা পাকিয়ে এসেছে। তাই বিরক্তের সহিত বললাম, -কেন এসেছিস? -গুরু, সারারাত ঘুমাইতে পারি নাই -কেন? মশারা কি খুব জ্বালাইছে... -এইটা নতুন কী, প্রতিরাতেই মশারা গান ধরে। আর আমি তবলা বাজাই -তো, সারারাত তবলা বাজিয়ে এখন কি রাগসঙ্গীত শুনতে এসেছিস? -গুরু কি বিরক্ত হচ্ছেন? -না বল, মাথায় আবার কোন পোঁকা ঢুকেছে... -গুরু, পোঁকা না প্রশ্ন -কি প্রশ্ন? -উন্নয়নের বিরানী কি? হাজি বিরানী, শাহী বিরানী ও নান্না বিরানীর নাম শুনেছি। কিন্তু উন্নয়নের বিরানীর নাম প্রথম শুনে অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম, -এই বিরানী, তুই কোথায় পেলি? -গুরু, উগন্ডার প্রধানমন্ত্রীর মুখে শুনেছি -কি শুনেছিস? -আপনারা উন্নয়নের বিরানী খান। আর কলাগাছের ভেলায় ভোট দিন। একথা শুনে টাস্কি খেয়ে গেলাম। আকাশে চাঁদ উঠলে, কাউকে ডেকে দেখানো প্রয়োজন হয় না। ঘরে বসেই দেখা যায়। কিন্তু ক্ষুধার্ত মানুষকে আকাশের চাঁদ ঝলস...

জীবনের প্রথম পুরস্কার

তখন সম্ভাবতঃ ক্লাস ফাইভে পড়ি। স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায়, আমি দৌড়ে তৃতীয় স্থান লাভ করেছিলাম। তৃতীয় স্থানের পুরস্কার ছিল বাটি। আমি সেই বাটিখানা পেয়ে খুশিতে গদগদ হয়ে গিয়েছিলাম। জীবনের প্রথম পুরস্কার বাটি। সেই বাটি দিয়ে শুধু তরকারি ও ডালই খেতাম না ভাতও খেতাম। পানিও খেতাম। আর মুড়ি খেতে সেই বাটিখানা আমার চাই, চাই'ই। কখনো কখনো বাটিখান উপুড় করে মাথার নিচে দিয়ে ঘুমাইতাম। আজ সেই বাটির কথা মনে পড়ে গেল... প্লিজ কেউ আবার বাটি চালান দিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় প্রধানমন্ত্রীর বাটি পুরস্কারের সাথে মিল খোঁজার চেষ্টা কইরেন না।।

ডাচ বাংলা ব্যাংকের বুথ

ডাচ বাংলা ব্যাংকের বুথে গিয়ে ছিলাম। প্রথম বুথটিতে কার্ড ঢুকিয়ে পাসওয়ার্ড দিলাম। ম্যাসেজ দিলো, অনুগ্রহপূর্বক অপেক্ষা করুন। ৪/৫ মিনিট হয়ে যাচ্ছে, আমি অপেক্ষায় আছি... বিরক্ত হয়ে সিকিউরিটি গার্ডকে জিজ্ঞেস করলাম, 'বুথটি কি নষ্ট?' শুনে বলল, 'মনে হয়, অপেক্ষা করুন। কার্ডটি বের করে দিবে' প্রায় দশ মিনিট পর কার্ডটি বের করে দিলো। সিকিউরিটি গার্ড আরেকটি বুথ দেখিয়ে বলল, 'এইটাতে দিন।' দিলাম। এবার টাকার অংক বসিয়ে কারেক্ট ওকে দেওয়ার পর ম্যাসেজ দিল। দুঃখিত, এমুহূর্তে আপনার রশিদ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না... ও বাব্বা! আমার দরকার টাকা আর ম্যাসেজ দিচ্ছে, রশিদ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। কি হচ্ছে কিচ্ছুই বুঝতেছি না। তৃতীয় বুথটিতে কার্ড দিলাম। এবার কার্ড সাথে সাথে বের করে দিয়ে মেসেজ দিল, দুঃখিত এমুহূর্তে লেনদেন সম্ভব হচ্ছে না... অথচ অনেকেই দেখছি টাকা তুলছে। চিন্তায় পড়ে গেলাম। কার্ডটি কি নষ্ট হয়ে গেলো? যদি নষ্ট হয়ে যায় তাহলে কার্ড পেতে মিনিমাম এক সপ্তাহ লাগবে। এখন কি করি... আমি যে বাসায় থাকি, সে বাসায় ভাড়া দেওয়ার নিয়ম বড়ই অদ্ভুত। ভাড়া ঠিক ১০ তারিখেই দিতে হবে। সমস্যা যতই হোক, ১০ তারিখের আগে...

ইবলিশ শয়তান

Image
খুব ছোট্টবেলা থেকেই টুকটাক লেখালেখি করি। ক্লাস সেভেন বা এইটে যখন পড়ি সেই সময়ে আমার প্রথম লেখা প্রকাশিত হয়। পাবনার একটি অখ্যাত ত্রৈমাসিক পত্রিকা 'দোলনচাঁপা'য় লিখেছিলাম সেই প্রবন্ধটি। যার নাম 'ইবলিশ কেন শয়তান'। প্রথম লেখায় আমি খুবই এক্সাইটেড ছিলাম। অনেকের প্রশংসাও পেয়েছিলাম।     তারপর থেকে নিয়মিত লেখালেখি করি। সমাজের যেখানে অসংগতি ও অন্যায় সেখানেই কলম ধরার চেষ্টা করি। আবার নিজের ভালো লাগা থেকে লিখি। মাঝেমধ্যে লেখার আবদারেরও লিখি। তেমন একজন লেখার আবদার নিয়ে এসেছিল। সে আর কেউ নয়, স্বয়ং 'ইবলিশ শয়তান'। একাকী বাসায় ঘুমিয়ে আছি। হঠাৎ গভীর রাতে, নাকেমুখে কথা বলার আওয়াজ শুনতে পেলাম। কে যেন আমার নাম ধরে ডাকছে, ' নঁজরুল কঁবীর ওঁ নঁজরুল কঁবীর ' ডাক শুনে চমকে উঠে বললাম, 'কে? কে?' অন্ধকারময় ঘরের বারান্দা থেকে ধোঁয়া উড়ছে। তার মধ্যে থেকে কন্ঠ ভেসে এলো, 'আঁমি ইঁবলিশ' হঠাৎ ঘুম ভেঙেছে। তাই থতমত খেয়ে বললাম,  'বালিশ! এতরাতে কে চাই বালিশ?' 'বাঁলিশ নাঁ, আঁমি ইঁবলিশ' 'ইবলিশ! কোথাকার ইব...

কাছে আসার গল্প

Image
জানুয়ারি ২০১৪ সাল। ডিজিল্যাবে আমার চাকরি হয়। মিরপুর-১০ এর ডিজিল্যাবে পহেলা ফেব্রুয়ারিতে জয়েন্ট করব, এই শর্তে চাকুরির এ্যাগ্রিমেন্টপত্রে সাইনও করেছি। আরেকটি জব ধানমন্ডি-১৫ তে। কাজী ফার্ম লিঃ এর দীপ্তটিভিতে "রাইটার" হিসেবে ট্রেনিং করতেছি।  এজন্য ধানমন্ডি-২ এর 'পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার লিঃ' এর প্রধান শাখায় যেখানে বর্তমানে কর্মরত আছি, সেখানে চাকুরী হতে অব্যাহতি চেয়ে পহেলা জানুয়ারিতে রিজাইন লেটার দিয়েছি। চলছে কোনমতে, একজন স্বপ্নভঙ্গ ছেলের জীবন যুদ্ধের মহা সংগ্রাম।      তাই প্রচন্ডরকমের ব্যস্ততা। সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২.৩০মিনিট পর্যন্ত দীপ্তটিভিতে, যদিও ৫টা পর্যন্ত থাকার কথা। আর বিকেল ৩টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত 'পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার লিঃ' এর প্রধান শাখায় শিফটিং ডিউটি করছি। তারপরও রাতে বাসায় ফিরে রাত জেগে দীপ্তটিভি'র জন্য ল্যাপটপে এসাইন্টমেন্ট তৈরি করতেছি।  এতো সব ঝামেলার মধ্যে আরও একটি বিষয় হুট করে যুক্ত হলো। এই বিষয়টি সম্পূর্ণ মা বাবার পছন্দের উপর ছেড়ে দিয়ে ছিলাম। তারা পছন্দ করেছেন। আমিও ছবি পাঠাতে বললাম। আমার ছোটভাই ছবিগুলো জিমেইল করে পাঠ...